এবার রেলে ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। প্রথম দফায় মোট ১৮৩২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে। মন্ত্রকের কাছে পেশ করা রিপোর্টে সেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই তিন লক্ষ কর্মী ছাঁটাই করে সারা দেশের মোট কর্মী সংখ্যা ১৩ থেকে ১০ লক্ষে নামিয়ে আনার কথা বলেছিল রেল বোর্ড। এজন্য রেলের সব কটি জোনের শীর্ষ কর্তাদের চিঠি দিয়ে তাঁদের কর্মীদের কর্মদক্ষতার পর্যালোচনা রিপোর্ট এবং সার্ভিস রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে সেখবর সম্প্রচারিত হতেই দেশজুড়ে রেলের বিরুদ্ধে কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বিতর্কের ঝড় ওঠে। তারপর বিবৃতি দিয়ে সাফাইয়ে রেল বলেছিল, ওই চিঠিতে শুধু যে সব কর্মীর ৫৫ বছর বয়স এবং আগামী ২০২০ সালে যাঁরা কর্মজীবনের ৩০ বছর পূরণ করে ফেলবেন শুধু তাঁদের ব্যাপারেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে এও স্পষ্ট করা হয়েছিল, যে সব কর্মীরা পরিষেবা দিতে এখন অক্ষম তাঁদের সময়ের আগে অবসরের প্রস্তাব দেওয়া হবে। তবে বাকি কর্মীদের কর্মদক্ষতাও যে এই স্ক্রুটিনির আওতায় থাকবে। যাঁরা কাজ করতে এখন পারছেন না তাঁদের ছাঁটাই করলেও রেলে নিয়োগ প্রতিবছর যেমন চলেছে তা চলতে থাকবে। ২০১৮-১৯ সালেই বিভিন্ন বিভাগে রেল মোট ১৮৪২৬২ জন কর্মী নিয়োগ করেছে।
এদিকে রেলের বেসরকারিকরণের উদ্দেশ্যে, ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন নীতি আয়োগের সিইও। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অর্থমন্ত্রকের তিনজন অফিসার। দিন কয়েক আগেই রেল মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল উন্নতমানের যাত্রী পরিষেবার লক্ষ্যে ১৫০টি ট্রেন এবং ৫০টি স্টেশনের বেসরকারিকরণ হবে। কীভাবে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া চলবে তা খতিয়ে দেখে কমিটির রিপোর্ট দেবে রেল বোর্ড। তারপর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ এগোবে।