মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার সকালেই কাশ্মীরের কুলগামে মৃত মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। স্বজনহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তাঁরা।
বুধবার সকালেই সাগরদিঘি গ্রামে পৌঁছন তৃণমূলের মন্ত্রী ও সাংসদরা। গোটা গ্রাম ঘুরে দেখেন তাঁরা। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে এসেছি। প্রশাসন সব সময় নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বহালনগর এলাকা থেকে জনা পনেরো শ্রমিকের একটি দল গিয়েছিল কুলগামে। মূলত আপেল বাগানে কাজ করতে যান এরা। কাতরাসু গ্রামেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা। সেই বাড়ি থেকে ওই শ্রমিকদের বের করে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহত হয় ৪৫ বছরের রফিক শেখ, ৩৫ বছরের কামরুদ্দিন, মুরসালিম শেখ ৪৫ বছরের, নইমুদ্দিন শেখ ৪২ বছরের এবং রফিকুল শেখ ২৩ বছরের। এদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকায় বোখরা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণী গ্রামে। খবর গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা।