আজ আইএসএলে উড়িষ্যা এফসির মুখোমুখি জামশেদপুর এফসি। দু’মরশুম আগে বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গেই আইএসএলে পথ চলা শুরু করেছিল জামশেদপুর। সুনীল ছেত্রীরা অভিষেকের মরসুমেই রানার্স হন। পরের মরসুমে চ্যাম্পিয়ন। জামশেদপুর কিন্তু এখনও পর্যন্ত শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ। গত মরসুমে ইপিএলে খেলা অস্ট্রেলীয় তারকা টিম ক্যাহিলকে সই করিয়েও ছবিটা বদলায়নি। তাই এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া জামশেদপুর।
অন্যদিকে অভিষেকের আইএসএলে ইটালির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোকে সই করিয়ে চমকে দিয়েছিল দিল্লি ডায়নামোজ এফসি। আর এক বিশ্বকাপজয়ী তারকা ব্রাজিলের রবার্তো কার্লোসও ছিলেন। কিন্তু শেষ চারের বেশি কখনওই এগোতে পারেনি দিল্লি। অধরা খেতাবের খোঁজে এই মরসুমে নাম ও ঠিকানা বদলে ফেলেছে তারা। উড়িষ্যা এফসি নামে ভুবনেশ্বর থেকে খেলবে। জিততে উদগ্রীব তারাও।
উড়িষ্যার কোচ জোসেপ গোম্বাউ-ও স্পেনীয়। গত মরশুমেও তিনি দায়িত্বে ছিলেন। এই মরশুমে দল গড়ার সময় তিনি তারুণ্যের উপরেই জোর দিয়েছেন। উড়িষ্যার অন্যতম ভরসা ২১ বছর বয়সি মিডফিল্ডার বিনীত রাই বলেছেন, ‘‘ফুটবল জীবনের শুরুতে আমি খুব একটা সুযোগ পেতাম না। কিন্তু কখনওই হাল ছাড়িনি। ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি কৃতজ্ঞ উড়িষ্যার এফসি-র কোচ ও অন্যান্যদের কাছে।’’ জাতীয় দলের কোচ ইগরকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত বিনীত। বলেছেন, ‘‘ভারতের সিনিয়র দলে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ ইগরের কাছে। সব সময় চেষ্টা করেছি, নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার।’’
জামশেদপুর সই করিয়েছে সি কে বিনীতকে। নতুন দলের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। বিনীত বলেছেন, ‘‘ফুটবল নিয়ে জামশেদপুরের উন্মাদনা দেখে আমি মুগ্ধ। আমার মতে, দেশের সেরা মাঠ এখন জামশেদপুরেই।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘সব ক্লাবের মতো আমরাও চাই চ্যাম্পিয়ন হতে। জামশেদপুরের সমর্থকদের ট্রফি উপহার দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’ বিনীত ছাড়াও জামশেদপুরের অন্যতম ভরসা অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সুব্রত পাল। এ ছাড়াও সুমিত পাসি, রোমিয়ো ফার্নান্ডেজের মতো তরুণরাও রয়েছেন। ঘরের মাঠে অভিযান শুরুর আগে দলের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো ওর্তেগা বলেছেন, ‘‘কাজটা কঠিন হলেও জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। গত এক মাস ধরে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’’