তাঁর মুখে বারবারই শোনা যায়, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। কিন্তু আদৌ কি সকলকে সঙ্গে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? এবার এমনই প্রশ্ন উঠে গেল দেশজুড়ে। উদ্দেশ্য ছিল সিনেমা ও টেলিভিশনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও জীবনকে আরও বেশি করে তুলে ধরা। গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেই নিয়েই এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। শনিবারের সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান, আমির খান, রাজকুমার হিরানি, কঙ্গনা রানাওয়াত, একতা কাপুর, কপিল শর্মা-সহ বলি পাড়ার বহু হেভিওয়েটরা। তবে দেখা যায়নি দেশের অন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের। কারণ আমন্ত্রণই করা হয়নি তাঁদের কাউকে। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে একের পর এক দক্ষিণী তারকাকে।
গতকালই সবার প্রথমে ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দক্ষিণী অভিনেতা রামচরন তেজার স্ত্রী উপাসনা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস রেখেই বলছি, যে আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলিউডের তারকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। দক্ষিণী হোক বা অন্য ইন্ডাস্ট্রির তারকা, তাঁদের অবহেলা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।’ এবার একই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজনীতিবিদ তথা বিখ্যাত দক্ষিণী অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর। টুইটারে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চলচ্চিত্র জগতের যাঁদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন, তাঁদের প্রতিও সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে স্মরণ করিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি, এই দেশের অর্থনীতিতে হিন্দির থেকে বেশি অবদান দক্ষিণী ছবির। সেরা অভিনেতা, টেকনিশিয়ানরা দক্ষিণ থেকেই। তবু বারবার দক্ষিণকে কেন ব্রাত্য করা হবে? এই বৈষম্য কেন?’ খুশবু-উপাসনাদের সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেছে নেটিজেনদের একটা বড় অংশকে। যা স্বাভাবিকভাবেই বেশ খানিকটা অস্বস্তিজনক মোদীর কাছে।