তিনি সদ্য নোবেল জয় করেছেন। দেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে অমর্ত্য সেনের পর ফের অর্থনীতিতে নোবেল এনেছেন তিনি। এহেন সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নোংরা খেলায় নামতে দেখা গিয়েছে বিজেপিতে। তাঁর নামের মাঝে কেন ‘বিনায়ক’ শব্দ আছে তা নিয়েও গেরুয়া শিবির থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এমনকী, নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি মোদী সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এতদিন ধরে চুপচাপ থাকার পরে অবশেষে এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক। গোটা বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিয়েছে বলে শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
নোবেল জয়ের পরে গত শুক্রবার রাতে প্রথম দেশে ফিরেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লীতে তাঁর সাক্ষাতের কথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেশের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ার জন্য মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ এই পরিস্থিতির জন্য অন্যতম দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইভাবে নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি চালু হওয়া পণ্য এবং পরিষেবা করকেও তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন। একইসঙ্গে তিনি এ-ও স্বীকার করে নিয়েছেন, নয়া কর ব্যবস্থা চালুর ফলে সৃষ্টি সমস্যাগুলি অনিবার্য ছিল এবং অন্য কোনও সরকার হলে হয়ত এত ভালোভাবে এটি ম্যানেজ করতে পারত না।
দেশের চলতি অর্থনৈতিক মন্দার জন্যে মোদী সরকারের বেশ কিছু নীতির দিকেও আঙুল তুলেছেন অভিজিৎ। তাঁর মতে, সরকার ইচ্ছাকৃত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হ্রাস করেছে। যার পরিণতিতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে গ্রামাঞ্চলে পণ্যের চাহিদা হ্রাস পয়েছে। যার সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতির।