কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার বলেছেন, দেশ জুড়ে তৈরি হবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের পাঠানো হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেইমতো কর্ণাটকে নাগমঙ্গলা তালুকে শীঘ্রই চালু হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় ডিটেনশন সেন্টার। প্রথমটি তৈরি হয়েছে অসমের গোয়ালপাড়ায়।
নাগমঙ্গলা তালুকের ডিটেনশন ক্যাম্প বেঙ্গালুরু থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কয়েকশ বর্গফুট জমির ওপরে তা গড়ে উঠেছে। সেই ভবনের আকৃতি ইংরেজি এল অক্ষরের মতো। সব মিলিয়ে আটটি ঘর আছে। এমনিতে দেখে মনে হতে পারে কোনও হোস্টেল। কিন্তু চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া আর লোহার ফটক বুঝিয়ে দেয়, হোস্টেল নয়, ওই বাড়িটি ডিটেনশন সেন্টার। তার সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট বাগান।
গোয়ালপাড়ার তুলনায় নাগমঙ্গলার ডিটেনশন সেন্টারের আয়তন নেহাতই কম। গোয়ালপাড়ায় আড়াই হেক্টর জমির ওপরে বন্দিশালা গড়ে উঠেছে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, শীঘ্র ডিটেনশন সেন্টার চালু হয়ে যাবে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও বলেছেন, যদি দেখা যায়, ওই বন্দিশালায় সব অনুপ্রবেশকারীর জায়গা হচ্ছে না, তাহলে আমরা সরকারের কাছে আরও জমি চাইব।
অক্টোবরের শুরুতেই কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোম্মাই বলেছিলেন, সরকার কর্ণাটকেও এনআরসি চালু করার কথা ভাবছে। কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ পি সি মোহন বলেন, আমাদের রাজ্যে বহু সংখ্যক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আছে। বেঙ্গালুরুতেই তাদের সংখ্যা বেশি। তারা মূলত বাংলাদেশী। অবৈধ বসবাসকারীরা আমাদের দেশের পক্ষে বিপজ্জনক। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কাজ করেছেন।