পিএমসি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা আগেই সামনে এসেছিল। এবার ব্যাঙ্কের রেকর্ড থেকেই উধাও হয়ে গেল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফের একবার মাথায় হাত সাধারণ গ্রাহকদের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাঙ্কের অন্তর্বতী সমীক্ষাকারী দল জানিয়েছে, এইচডিআইএল নামের একটি সংস্থার নামে একাধিক চেক ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই চেকগুলি কখনই ব্যাঙ্কে ডিপোজিট করা হয়নি। টাকাও ওই সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে পৌঁছয়নি। চেকের হিসেবে গড়মিল হওয়া ১০ কোটি টাকার পাশাপাশি আরও ৫০-৫৫ লক্ষ টাকার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। ইতিপূর্বে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সেখানে প্রায় ৪,৩৫৫ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, এই জালিয়ার পরিমাণ সাড়ে ৬ হাজার কোটির বেশি হতে পারে।
সদ্য প্রকাশিত সাড়ে ১০ কোটির জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে খুঁটিয়ে গত কয়েক বছরের লেনদেন খতিয়ে দেখার পর। গোটা ঘটনায় কার্যত কাঠগড়ায় উঠেছে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয় থমাসের নাম। জানা গিয়েছে, তিনি এইচডিআইএল সংস্থার চেক গ্রহণ করে টাকা দিয়ে দিলেও ব্যাঙ্কে সেগুলি তিনি জমা দেননি। চেক জমা হওয়ার কোনও প্রমাণও মেলেনি ব্যাঙ্কের রেকর্ড বইতে। জয় থমাস যদিও জালিয়াতির কথা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এই নতুন ঘটনায় ‘জালিয়াত’ বোঝা আরও বেশি করে চাপল থমাসের মাথায়। আপাতত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।