এ বছর বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারের স্কোর টাই হওয়ার পর ম্যাচে মোট বাউন্ডারি বেশি মারায় ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং অনুরাগীই মনে করেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। এভাবে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা ঠিক হয়নি। তারপরই নিয়ম বদল নিয়ে আলোচনা শুরু করে আইসিসি। সোমবার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি–র টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সুপারওভারে স্কোর টাই হলে আবার খেলা হবে। বিশ্বকাপ ফাইনালের ভাগ্য ঠিক করে দেওয়া বিতর্কিত সেই বাউন্ডারি আইন উঠিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি, তাকে স্বাগত জানালেন শচীন তেন্ডুলকর।
শুধু শচীনই নন, অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই আইসিসির এই নিয়মের সমালোচনা করেছিলেন। কেউ কেউ মনে করেন, একটু দেরিতেই ঘুম ভাঙল আইসিসির। যেমন নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ ক্রেগ ম্যাকমিলান। একই বক্তব্য নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশামেরও। যিনি সুপার ওভার টাই হওয়ার সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন। তিনি মজা করে টুইট করেন, ‘‘এর পরের কর্মসূচি হল টাইটানিকের জন্য আরও ভাল দূরবিনের ব্যবস্থা করা। যাতে আগে ভাগে হিমশৈল দেখা যায়।’’
মাস্টার ব্লাস্টার গতকাল টুইট করেন, ‘‘আমার মনে হয় এ রকম একটা সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। যখন দুটো দলকে কোনও ভাবেই আলাদা করা যায় না, তখন এ রকম একটা রাস্তা বার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’