দীর্ঘদিন ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর ২০০৮ সালে ঢাকা- কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। এবার আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷ দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে বেনজির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যেসব রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো পুনরায় চালু করা হবে৷
শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়াতে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি, আখাউড়া-আগরতলাসহ কয়েকটি রুট পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। উল্লেখ্য, বন্ধ রুটগুলি চালু করে পাকিস্তানকেই কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন হাসিনা বলে মনে করছেন কুটনীতিবিদের একাংশ৷ তিস্তা জলবণ্টন-সহ বেশ কিছু ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে খানিকটা চাপানউতোর থাকলেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত৷
গতকাল ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে প্রথম ট্রেন চালু এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের র্যাক প্রতিস্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন হাসিনা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হওয়ার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে সমস্ত রুটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো আবার আমরা চালু করতে চাইছি। এই লাইনগুলি ফের চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে আরও লাভবান হবে।’ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলকে নিশান করে হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে অনেক রেল ও রেললাইন বন্ধ করে দেয়। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল।’