নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের অর্থনীতির গতি নীচের দিকে নামতে শুরু করেছে। বারবার নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা, প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপ করেও জিডিপির হার বৃদ্ধি করা যায়নি। বরং টাকার দাম কমে যাওয়া, শেয়ারবাজারে ধস, সেনসেক্স পড়ে যাওয়া থেকে গাড়ি ও নির্মাণ শিল্পে ব্যাপক লোকসান এগুলি তাঁর সময়েই হয়ে চলেছে। তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে এবার সরাসরি অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপালেন তিনি।
বুধবার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশানাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্ণরের আমলে সব থেকে খারাপ সময় গিয়েছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে। রাজনের সম্মান রেখেই বলছি এই নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই তাঁদের আমলেই এমন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। তখন কেউই এই বিষয়টা জানতো না।’ এখন যে আর্থিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে তাতে মনমোহন মডেলই অনুসরণ করতে বলছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি মনমোহন-নরসিমহা রাওয়ের অর্থনীতিই অনুসরণ করার কথা বলেছেন নির্মলার স্বামীও। সেখানে অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনকী অর্থমন্ত্রী সাল উল্লেখ করে এই সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে অনাদায়ী ঋণের পরিমান বেড়েছে ২০১১–২০১২ সালে, ৯ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ২০১৩–২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২.১৬ লক্ষ কোটি টাকায়। আর ২০১৪ সালের মে মাসে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে।’ সেই কারণেই এখন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে উন্নতি করা যাচ্ছে না। তবে লড়াই জারি আছে। কর্পোরেট কর কমিয়ে অর্থনীতির উন্নতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। নোট বাতিলের সমালোচনা বিরোধীরা করেছিলেন বলেই এই দায় তাঁদের ওপর চাপানো হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।