নরেন্দ্র মোদী সারা দেশে নোটবন্দি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ভারতীয় অর্থনীতিতে। মোদীর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব বর্তমান ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর পড়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে তা বহু বিশিষ্ট জনের পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অর্থনীতিতে নোবেল জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। দারিদ্র্য দূরীকরণে তাঁর গবেষণার জন্যই বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন তিনি। সেই বাঙালী অর্থনীতিবিদের ভবিষ্যতবাণী মিলে যাচ্ছে আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে।
নরেন্দ্র নোটবন্দির সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে দেশের সাধারণ মানুষকে আগামি দিনে অশেষ কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নোট বাতিলের যে নেতিবাচক প্রভাবের কথা আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তা বহুগুণ ছাড়িয়ে যাতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নম্রতা কালার সঙ্গে লেখা একটি যৌথ গবেষণাপত্রে সে সময় অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘নোট বাতিলের ফলে প্রথমত বাজারে নগদের যোগান ধাক্কা খাবে। যার ফলশ্রুতিতে নগদ অর্থের অভাবে অর্থনৈতিক লেনদেনের সংখ্যা বা পরিমাণ হ্রাস পাবে। আর নোটবন্দির ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র। কারণ এই ক্ষেত্রে মূলত নগদে লেনদেন হয়। দেশের মোট শ্রম শক্তির ৮৫ শতাংশ বা তার বেশি এই অসংসগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত।’
এখানেই না থেমে নোটবাতিল দুর্নীতি রোধ করবে বলে কেন্দ্রের তরফে যে দাবি করা হচ্ছিল, তাও সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ। বরং কেন্দ্র ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকা মূল্যের নোট আনায় ভবিষ্যতে দুর্নীতির পরিমাণ বাড়বে বরং কমবে না বলে সে সময়ই সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি।