বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই বিজয়া দশমীর পরে পুজো পুজো ভাবটা চলে গেলেও একের পর এক আসতে থাকে পুজো, উৎসবের সারি। দশমীর ঘোর কাটতে না কাটতেই আসে লক্ষ্মী পুজো। তারপর একে একে কালী জগধাত্রী, দেবীর আরাধনা তো থাকেই, পাশাপাশি থাকে বাঙলির সবসময়ের প্রিয় পেটপুজো।
লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে তাই রইলো কয়েকটি মিষ্টির রেসিপি –
পাকন হালুয়ার নকশি পিঠে
উপকরণ – ছোলার ডাল, দুধ, চিনি, চালের গুড়ো, ঘি, এলাচ
পদ্ধতি – একটি কড়াইয়ে পরিমান মতো দুধ গরম করে, তাতে পরিমান মতো ছোলার ডাল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন৷ এবার ডাল সেদ্ধ হলে তাকে ডালকাটা দিয়ে ঘুটে নিন। অন্য কড়াইয়ে ঘি গরম করুন, তাতে সিদ্ধ ডাল, নুন, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর নামিয়ে নিন। অন্যদিকে, পাত্রে জল গরম করে তাতে চালের গুড়ো দিয়ে কিছুক্ষন রেখে মেখে লেচি তৈরি করে তার মধ্যে ডাল পুরে বেলে নিনি। ঘি এ ভেজে তুলে নিন। তৈরি পাকন হালুয়ায় নকশি পিঠে।
পদ্মছাপ নারকেল ছাপা
উপকরণ – নারকেল কোরা, কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ, দুধ, পদ্মফুলের ছাঁচ।
পদ্ধতি – নারকেল কোরা কনডেন্সড মিল্ক মেখে নিন। কড়াইয়ে কম আঁচে তা পাক দিতে থাকুন। তাতে এলাচগুড়ো দিন, শুকনো লাগলে দুধ দিন কিছুটা। মিশ্রন মাখোমাখো হলে নামিয়ে নিন।
ছাঁচে ঘি মাখিয়ে নিন, অল্প করে মিশ্রন নিয়ে ছাঁচে বসান। ছাঁচ থেকে বার করে নিলেই রেডি পদ্মছাপ নারকেল ছাপা।
নারকেল নাড়ু
কী কী লাগবে
নারকেল কোরা: ১টি
ঘি: ১/৪ কাপ
এলাচ গুঁড়ো: ১/৪ চামচ
খেজুড়ের গুড়: ১ কাপ
কীভাবে বানাবেন
কড়াইতে ঘি গরম হলে নারকেল কোরা ও গুড় দিয়ে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন কড়াইতে লেগে না যায়। আঁঠালো হয়ে এলে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। গরম অবস্থায় গোল গোল নাড়ু পাকিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে কৌটোয় ভরে রেখে দিন।
তিলের নাড়ু
কী কী লাগবে
খোসা ছাড়ানো তিল ভাজা: আধ কাপ
নারকেল কোরা: ৪ কাপ
আখের গুড়: ১/৪ কাপ
কীভাবে বানাবেন
আখের গুড় আর নারকেল কোরা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবারে কড়াইতে মাঝারি আঁচে গুড়-নারকেল মিশ্রণ নাড়তে থাকুন। আঁঠালো হয়ে এলে তিল দিয়ে নাড়তে থাকুন। নারকেল, গুড়, তিল ভালভাবে মিশে গেলে আগুন থেকে নামিয়ে ছড়ানো থালায় তেল মাখিয়ে মিশ্রণ ঢেলে দিন। নাড়ু পাকানোর সময় হাতে সামান্য জল মাখিয়ে নিন। তাহলে আঁঠা হবে না। গোল গোল নাড়ু পাকিয়ে খোলা হওয়ায় রেখে দিন। ভালভাবে জমাট বাঁধলে ঢাকনা দেওয়া কৌটোয় ভরে রেখে দিন।