ছবি তোলাই ছিল রিষড়ার প্রদীপ সাক্সেনার নেশা, ভালোবাসা আর সেই ছবি তুলতে গিয়েই হল মর্মান্তিক মৃত্যু। অসাবধানতার বশে ট্রয়ট্রেন থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে কফিনবন্দি মৃতদেহ পৌঁছল রিষড়া বাঙ্গুর পার্কে। দার্জিলিং থেকে রিষড়ার বাড়ি অবধি মৃতের পরিবারের পাশে রইল রাজ্য সরকার।
ট্রয় ট্রেন থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানে পা হড়কে যায় প্রদীপ বাবুর। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের চেষ্টায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দার্জিলিঙের একটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব পৌঁছন সেখানে। সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে দ্রুত মৃতদেহ এবং পরিবারের সদস্যদের রিষড়ার বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
পঞ্চমীর দিন সপরিবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন কেব্ল অপারেটার প্রদীপ সাক্সেনা। একাদশীর সন্ধেয় বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতা ফেরার কথা ছিল। বুধবার সকালে হোটেল ছাড়েন। দার্জিলিঙের ঘুম স্টেশনে স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে ট্রয় ট্রেনে চাপেন। ট্রেন বাতাসিয়া স্টেশনের কাছে আসতে হঠাৎ প্রদীপ ট্রেনের দরজা খুলে সেলফি তুলতে যান। তারপরই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় মৃতদেহ। পর্যটন দফতরের দুটি গাড়ির পাহারায় অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হয় কফিনবন্দি দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়পরিজন। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ খান, জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব প্রমুখ। তাঁরা মরদেহে মালা দিয়ে সমবেদনা জানান।