প্রকাশ্যে নাম না করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন সলমন খুরশিদ। বলে দিলেন, দল সঙ্কটে কারণ নেতারা অভিমান করে বেরিয়ে যান। কোনও রাখঢাক না রেখে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সলমন খুরশিদের এ হেন মন্তব্যে যারপরনাই অস্বস্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেসকে। তার সঙ্গে এ-ও জল্পনা তৈরি হয়, এমন দুঃসময়ের দিনে তিনিও কি ‘হাত’ ছাড়ছেন? বুধবার সলমনের স্পষ্ট জবাব, না দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে খুরশিদ বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে হারের পর অভিমানে ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। যতদিন না-পর্যন্ত দলের নয়া সভাপতি নির্বাচিত হয়, ততদিন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। খুরশিদের কথায়, ‘কেন আমরা হারলাম, তা পর্যবেক্ষণ করতে আমরা একত্র হইনি। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নেতাই বেরিয়ে গিয়েছেন। এতে একটা ফাঁকা জায়গায় সৃষ্টি হয়। সোনিয়া গান্ধী তাঁর জায়গায় এসেছেন। তবে এটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তিনি স্টপ গ্যাপ হিসেবে কাজ করছেন। এটা না-হলেই ভালো হত।’
উল্লেখ্য, অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ এবং হরিয়ানার ৯০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু পছন্দমতো টিকিট বা নেতৃত্ব না মেলায় দলের কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শীর্ষ নেতারা। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা সঞ্জয় নিরুপম ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দল ছাড়ার। হরিয়ানার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অন্তর্কলহের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছেন অশোক তানওয়ার। নির্বাচনী প্রচারও বয়কট করছেন অনেক তারকা নেতারা।
গতকাল সলমন খুরশিদ জানান, দল যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন। এমনকি কংগ্রের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি। এ দিন খুরশিদ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর অভিমানে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখারও সুযোগ হয়নি দলের। দলের মধ্যে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে সনিয়া গান্ধীর পক্ষে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন সলমন খুরশিদ।