চলতি বছরের শেষের দিকেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। আর তার আগেই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে তলব করল ইডি। জানা গিয়েছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শরদ পাওয়ার ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন। আর এনসিপি প্রধানকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল। শরদের বাসভবন তথা ইডি দফতরের চতুর্দিকে বিরাট সংখ্যক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
অন্যদিকে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জানা গেছে, ভোটের মুখে শরদকে ইডি তলব করায় বেজায় রুষ্ট কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে রাহুল স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন, ভোটের মুখে বিরোধীদের কোণঠাসা করতেই কেন্দ্র তাদের অধীনস্থ সংস্থাগুলিকে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার মামলায় নাম জড়িয়েছে শরদ পাওয়ারের। তবে মূল অভিযোগ তাঁর নামে নেই। কিন্তু অভিযোগপত্রে তাঁকে কিংপিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দিনকয়েক আগেই পাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে করেছিল মুম্বই পুলিশ।
তবে এদিন শরদের হাজিরা ঘিরে মুম্বই উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। জায়গায় জায়গায় প্রদর্শন বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এনসিপি সমর্থকেরা। ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগেই অবশ্য সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শরদ লিখেছেন, ‘সমস্ত দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে আর্জি রাখছি, আপনারা দয়া করে ইডি দফতরে জমায়েত করবেন না। পুলিশ ও সরকারি এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতা করুন।’