সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় সতীশ ডাগর নামে তদন্তকারী অফিসার স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানালেন। প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সিবিআইয়ের এসপি সতীশ ডাগর অবসর গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র অবশ্য জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছাবসরের আবেদন করেছেন রাকেশ আস্থানা মামলার তদন্তকারী সিবিআই অফিসার সতীশ ডাগর। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বললেও অবসরের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন সিবিআই অফিসার ডাগর।
গত বছরের অক্টোবর মাসে সিবিআইয়ের তৎকালীন প্রধান অলোক বর্মা বনাম সিবিআইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী রাকেশ আস্থানার নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হয়। সিবিআইয়ের সর্বোচ্চ দুই পদাধিকারী পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এমনকী কেন্দ্রের কাছে আস্থানাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ করেন সিবিআইয়ের তৎকালীন প্রধান অলোক বর্মা। এর মধ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারের স্বেচ্ছাবসরের আর্জি নিয়ে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রথম এফআইআর দায়ের হয় সিবিআইয়ের তৎকালীন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে। মইন কুরেশি নামের এক মাংস রফতানিকারী ব্যবসায়ী ও তাঁর সহযোগী হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী জনৈক সতীশ সানার বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই ও ইডি। অভিযোগ ওঠে চার্জশিটে যাতে নাম না থাকে তার জন্য অভিযুক্ত সতীশ সানা ২ কোটি টাকা ঘুষ দেন আস্থানকে। যদিও সেই সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন রাকেশ আস্থানা। এদিকে সিবিআইয়ের তৎকালীন প্রধান অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ আনেন আস্থানা। এরপর সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে রাতারাতি এম নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়। দায়িত্বে এসেই রাকেশ আস্থানা মামলা তদন্তকারী অফিসার এ কে বসসিকে পোর্ট ব্লেয়ারে বদলি করে দেন সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও। এরপর তদন্তভার দেওয়া হয় সতীশ ডাগরকে।