শেষবার জনগণনা হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ৮ বছর। ২০১১ সালে গোটা দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ৮ বছরে দেশের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে আর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে ফের আদম শুমারি হবে। তবে এবার আর দরজায় দরজায় ঘুরে নয়, বরং সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমেই হবে এই আদম শুমারি। আর সেই গণনার প্রস্তুতি হিসেবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি মাল্টিপারপাস ডিজিটাল আইডি কার্ডও তৈরি করা হবে। সেই কার্ডের মধ্যেই মজুত থাকবে ভোটার, আধার, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো পরিচয়পত্রের তথ্য। সোমবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। এই প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘২০২১ সালের আদম শুমারির জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। যার দ্বারা কাগজ-পত্রের গণনাকে ডিজিটাল গণনায় রূপান্তরিত করা হবে। আধার, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এই সব তথ্যই ওই একটা কার্ডের মধ্যেই মজুদ থাকবে। সম্ভাব্য পদ্ধতি এটাই।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয় তবে অন্যান্য জায়গা থেকে ডেটা সংগ্রহ করে ওই অ্যাপ নিজের থেকেই জনসংখ্যা আপডেট করে দেবে। মূলত অ্যানড্রয়েড ফোনের জন্য এই অ্যাপ ডিজাইন করা হচ্ছে বলে জানান অমিত।
সূত্রের খবর, ডিজিটালভাবে এই জনগণনা করতে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারতে এতবছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার দোরে দোরে না ঘুরে সোজাসুজি অ্যাপের মাধ্যমে গণনা করা হবে। জানা গেছে, এই বিরাট কর্মকাণ্ডে প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষকে নিয়োজিত করা হবে। চলতি বছর মার্চ মাসেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ২০২১ সালে পয়লা মার্চ থেকে জনগণনা শুরু হবে। আর আজ সেই আদম শুমারি নিয়েই নতুন ঘোষণা করল কেন্দ্র।