রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা তুলে দিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। এই বিষয়ে এক অদ্ভুত যুক্তিও দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা তো পুজো করেন। চাঁদা তোলা ছাড়া আপনারা কেউ পুজো করতে পারবেন কি? তাহলে টাকা না নিয়ে আমি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেব কী করে?’
সুদীপ রায়বর্মনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার পর তাঁর অধীনস্থ স্বাস্থ্য দপ্তরটি এখন নিজেই দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এমনিতে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আরও ২৬টি দপ্তর ছিলই। তার সঙ্গেই যোগ হয়েছে সুদীপের স্বাস্থ্য দপ্তর। সেটি হাতে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই নির্দেশ জারি করেছেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের আউটডোর থেকে ইনডোর – সমস্ত পরিষেবার ক্ষেত্রে চড়া হারে ফি ধার্য করা হল।
এই ঘটনা এবং তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি শুনে গোটা ত্রিপুরা জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এর আগেও বিপ্লবের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে কখনও সমালোচনা বা কখনও রসিকতার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে তাঁর মন্তব্য রাজ্যের মানুষের কাছে যথেষ্ট ‘বৈপ্লবিক’ ঠেকেছে।
ইতিমধ্যে হাসপাতালে চার্জ জারির বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের সদস্যরা। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার চিঠি লিখে ‘মানুষের নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার অধিকার কেড়ে না নিতে’ মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি।