বহু ভাষাভাষী দেশ ভারতে বাধ্যতামূলক ভাবে ফের হিন্দী চাপানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার? শনিবার জাতীয় হিন্দি দিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ট্যুইট সেরকমই জল্পনা উসকে দিল। এদিন ‘এক দেশ এক ভাষা’র পক্ষে সওয়াল করেন অমিত শাহ।
গোটা দেশে হিন্দি ভাষা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চালু হলে তা মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার প্যাটেলের স্বপ্নকে সত্যি করবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। ‘দেশের সব ভাষারই স্বাতন্ত্র্য, বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য রয়েছে’, এ কথা স্বীকার করেও বিজেপি সভাপতি এ দিন বলেন, ‘ভারতে বহু ভাষা রয়েছে। প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব, স্বাতন্ত্র্য ও তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু বিশ্বে ভারতের পরিচিতির জন্য একটা নির্দিষ্ট ভাষার খুবই প্রয়োজন। দেশের কোনও ভাষা যদি ভারতের ঐক্য ও সংহতিকে অটুট রাখতে পারে, তবে তা বহুপ্রচলিত হিন্দী ভাষাই’।
শুধুই অমিত নন, হিন্দি দিবসে ওই ভাষার ব্যবহার দেশে বাড়ানোর উপর এ দিন জোর দিয়েছেন বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জগৎ প্রসাদ নাড্ডাও। এক অনুষ্ঠানে নাড্ডা বলেন, ‘দেশে হিন্দী ভাষাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কথা বলেন। এই ভাষাই সবচেয়ে সহজে বোঝা যায়। হিন্দী ভাষাই আমাদের দেশের মানুষকে ঐক্যের বাঁধনে বেঁধে রেখেছে। হয়ে উঠেছে বিশ্বে ভারতের পরিচিতি নির্ধারকও। নিজের জীবনে আরও বেশি করে হিন্দির ব্যবহার করা ও অন্যদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য আমি দেশের আপামর মানুষের আর্জি জানাচ্ছি’।
গত জুন মাসে শিক্ষানীতির খসড়ায় সব স্কুলে বাধ্যতামূলক ভাবে হিন্দি শিক্ষার নির্দেশ বিভিন্ন রাজ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল। দক্ষিণের রাজ্যগুলির পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা, মহারাষ্ট্রও। প্রতিবাদের মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, অমিত শাহর এদিনের টুইট বুঝিয়ে দিল, আবার যে কোনও সময় দেশবাসীর ওপর ‘হিন্দী সংস্কৃতি’র প্রকোপ নেমে আসতে পারে।