হিংসার পরিবেশ তৈরি করে লোকসভায় বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর থেকে জিতে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপর থেকেই অশান্ত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। মাঝেমধ্যেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভাটপাড়া, কাঁচরাপাড়া। এতে অতীষ্ঠ এবার খোদ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়ই। যার ফলে
ফাটলও ধরল সিং পরিবারে! বিজেপির ঘর ভেঙে শুক্রবার তৃণমূলে ফিরলেন গাড়ুলিয়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রভান সিং।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লী গিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন চন্দ্রভান। যিনি সম্পর্কে নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা গাড়ুলিয়া পুরসভার বিজেপির চেয়ারম্যান সুনীল সিংয়ের দাদা। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের শ্যালক সুনীলের দাদার শুক্রবারের এই দলবদল ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
জানা গেছে, গতকাল খাদ্যভবনে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপরেই চন্দ্রভান তৃণমূলে ফেরার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন উন্নয়নের কাজ করার জন্য। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে সেই উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। মানুষকে পরিষেবা দিতে গেলে তৃণমূলের বিকল্প যে কিছু নেই, তা আমি অনুধাবন করেছি। তাই তৃণমূলে ফিরে এসেছি।’
এর ফলে ২১ আসন বিশিষ্ট গাড়ুলিয়া পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষে ৮ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে ১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই গাড়ুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের তরফে অনাস্থা আনা হবে। তারপর সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে পুরসভা পুনরুদ্ধার করা হবে। হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটির পর এবার পুনরুদ্ধারের তালিকায় গাড়ুলিয়ার নাম যুক্ত হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।