চলতি অ্যাসেজ সিরিজ নিয়ে বেশ উত্তেজিত ক্রিকেট দুনিয়া। খাতায় কলমের হিসেবে ট্রফি নিজের দখলে রেখে দিল অস্ট্রেলিয়া। তবে এই সিরিজ জেতার জন্য লড়বে তাঁরা। সেদিক থেকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্টেও মানস্তাত্বিক সুবিধা পাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে ঘরের মাঠে সিরিজ হার ঠেকাতে মরিয়া ইংল্যান্ডও। তাই বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলা ওভাল টেস্ট ঘিরে যথেষ্ট আগ্রহ ক্রিকেট দুনিয়ার।
পাঁচ ইনিংসে ৬৭১ রান। ব্যাটিং গড় ১৩৪। স্টিভ স্মিথ মনে করিয়ে দিচ্ছেন স্বদেশীয় কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের কথা। ১৯৩০ সালে একটি টেস্ট সিরিজে ব্র্যাডম্যান করেছিলেন ৯৭৪ রান। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোফ্রা আর্চারের বলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ যদি মাথায় গুরুতর চোট না পেতেন, তাহলে ব্র্যাডম্যানের ওই রেকর্ড অক্ষত থাকত না। স্মিথ দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি। এমনকী, তৃতীয় টেস্টেও তাঁকে মাঠে নামায়নি অস্ট্রেলিয়া।
পাঁচটি ইনিংসের মধ্যে স্মিথ দু’টি সেঞ্চুরি, দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। যা দেখে অনেকে বলছেন, এবারের অ্যাসেজের লড়াইটা হচ্ছে স্মিথ ও ইংল্যান্ডের মধ্যে। সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জো রুটও।
চলতি অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব হয়তো স্মিথকে দিতে হবে। তবে জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্সের যুগলবন্দি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে। দুই অজি পেসার এখনও অবধি ৪২টি উইকেট নিয়েছেন। সেই তুলনায় ইংল্যান্ডের পেস ব্যাটারি ততটা নজর কাড়তে পারেনি।
অস্ট্রলিয়ার ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা স্টিভ স্মিথ। তাঁর না থাকা দলের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা তৃতীয় টেস্টেই বোঝা গিয়েছে। তবে স্মিথ চোট না পেলে কনকাশান সাব হিসাবে মার্নাস লাবুশানের এমন রাজকীয় উত্থান ঘটত না। স্মিথের পর লাবুশানেই অজি ব্রিগডে ব্যাট হাতে ভরসা জোগাচ্ছেন। তবে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার একেবারেই ফর্মে নেই। মার্কাস হ্যারিসও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের হাল আরও করুণ। ক্যাপ্টেন জো রুট ব্যাট হাতে দলকে ভরসা জোগাতে পারছেন না। অ্যাসেজ হারলে তিনি ক্যাপ্টেন্সিও খোয়াতে পারেন। বেন স্টোকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের উপর ইংল্যান্ডের সিরিজ ভাগ্য ঝুলছে।