এবার দেশের শীর্ষ আদালত ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ককে মান্যতা দিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, “ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রাষ্ট্রে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আমরা এই ধরণের বৈবাহিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে মতামত দিতে পারি না। হিন্দু ও মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে অবশ্যই বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে পারেন। আইন মেনেই তাঁরা বিয়ে করছেন। সেক্ষেত্রে সমস্যার কোনও জায়গা নেই। এতে সমাজে বৈষম্য দূর হয়। উঁচু জাত ও নিচুজাতের মধ্যেও বিয়ে হওয়া উচিত। এই সম্পর্ক সমাজতন্ত্রের জন্য ভাল”।
কিছুদিন আগেই ছত্তিশগড়ে একটি ভিন্ন জাতের মধ্যে বিয়ের ঘটনার মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই ঘটনায় মেয়েটির বাবা অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এক মুসলিম যুবক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করে। এই মামলার রায় দিতে গিয়েই ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মতামত স্পষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারকদের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘বিবাহের বিরুদ্ধে কোনওরকম মামলা চলবে না। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই যেহেতু বিয়ে হয়েছে, সেখানে কিছুই বলার থাকতে পারে না। এমনকি, যেসব পুরুষ ও মহিলা বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাস করেন, তাঁদের অধিকারকেও মান্যতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।