আগামী ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে। এই তারিখের আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন করিয়ে নিতে চায় সরকার। আগামী ২–৩ দিনের মধ্যেই তার দিনক্ষণ ঘোষণা বলে সূত্রের খবর। তবে এখন কাশ্মীরের যা অবস্থা তাতে এই নির্বাচন বিজেপি’র পক্ষে যাবে বলেই এটা করা হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, জম্মু–কাশ্মীর পঞ্চায়েতিরাজ আইন ১৯৮৯ অনুযায়ী, ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল হল পঞ্চায়েতের দ্বিতীয় ধাপ। এখানে ৩১৬টি ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল রয়েছে। ২০১৮ সালে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি বয়কট করার পরনির্বাচন করা হয় বেশ কয়েকজন সরপঞ্চকে। জুলাইয়ে জম্মু–কাশ্মীর সফরে রাজ্যের সরপঞ্চদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি ৩৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও জানিয়ে যান। তবে এই নির্বাচন ন্যাশানাল কনফারেন্স এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বয়কট করবে বলে সূত্রের খবর।
জম্মু–কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই নির্বাচন সরকারের কাছে মানুষের রায় পরখ করার আসল সময় বলে মনে করছেন অনেকে। আবার এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে নির্বাচন করিয়ে রাজ্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে প্রমাণ করতে পারবে সরকার। এখন প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আটক নেতাদের কী মুক্তি দেবে প্রশাসন? দিলেও তা কীভাবে?