মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোর কাজে ফলে বিধ্বস্ত বউবাজার এলাকা। এরফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথামতোই ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেই ঘোষণা করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই আশ্বাস মতো শনিবার থেকে শুরু হল প্রথম দফায় চেক বিলির কাজ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো টানেলের জেরে গত রবিবার থেকেই ভাঙতে শুরু করে বউবাজারের একাধিক বাড়ি। যে এলাকা একসময় আমজনতার হইচইয়ে মাতোয়ারা হয়ে থাকত। সেই জায়গা বর্তমানে গৃহহারাদের হাহাকারের শব্দে ভারী। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তড়িঘড়ি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে বৃহস্পতিবারই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে কেএমআরসিএল। সেই মতো ইতিমধ্যেই ১০০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন থেকে আপাতত ১৫টি পরিবারের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। চেক পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পুরসভার কাউন্সিলর আইডেনটিফিকেশন সার্টিফিকেট দেবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর ফলে ব্যাংকের পাশবই ছাড়া পেয়িং স্লিপ দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন বাসিন্দারা।
শনিবার ১৯টি পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। কেএমআরসিএলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে শেষ করা হবে প্রথম দফার চেক বিলি প্রক্রিয়া। চেক হাতে পেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এই চেক হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।