তাঁকে ভাঙা অতো সহজ নয়। ক্রিকেট মাঠ থেকে এক বছরের নির্বাসন তাঁকে দমিয়ে দিতে পারেনি। জোফ্রা আর্চারের বিষাক্ত বাউন্সারে লুটিয়ে পড়েছেন। আহত হয়ে ছিটকে গিয়েছেন এক টেস্টের জন্য। কিন্তু ফিরে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানসিক জোর সমস্তটা। অ্যাশেজ যেন কোনও না কোনও ভাবে মিশে যাচ্ছে অতীতের ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথের সঙ্গে। আর্চারের মারাত্মক বোলিংয়ে ফিরে এসেছে কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজের ছায়া। আর স্মিথ ফিরিয়ে এনেছেন স্বয়ং ডন ব্র্যাডম্যানকে।
অবিশ্বাস্য এক ক্রিকেট রূপকথা লিখে চলেছেন স্টিভ স্মিথ। লর্ডসে মাথায় চোট পেয়েছিলেন। হেডিংলে টেস্টে ছিটকে গিয়েছিলেন। আর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরেই টেস্টে নিজের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। বৃহস্পতিবার চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্মিথের ব্যাট থেকে পাওয়া গেল মহাকাব্যিক ২১১ রান। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ডিক্লেয়ার করে আট উইকেটে ৪৯৭ রানে। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান এক উইকেটে ২৩।
চলতি সিরিজে তিন টেস্ট খেলে তিনটি সেঞ্চুরি করার পরে স্মিথের নামের পাশে বসে গিয়েছে ‘আধুনিক ডন’-এর তকমা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সব চেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি করার তালিকায় ঠিক ব্র্যাডম্যানের পরেই স্মিথ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্র্যাডম্যানের ৬৩ টেস্ট ইনিংসে ১৯টি সেঞ্চুরি। সেখানে স্মিথের ৪৫ ইনিংসে ১১। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার ব্যাপারেও তিনি এখন ডনের পরে। ইংল্যান্ডে ব্র্যাডম্যানের ডাবল সেঞ্চুরির সংখ্যা পাঁচ, স্মিথের দুই।
স্মিথের ব্যাটিং দেখে টুইট করেছেন স্বয়ং শচীন তেন্ডুলকরও। মুগ্ধ শচীন লিখেছেন, ‘‘স্মিথের টেকনিক খুব জটিল। কিন্তু খুব গোছানো মানসিকতার মালিক। এটাই স্মিথকে আলাদা করে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন!’’