মেয়ের বিয়ের জন্য সদ্য রঙ করা পৈতৃক ভিটে এখন ধ্বংসস্তূপ৷ সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে বিয়ের জন্য কেনা শাড়ি, সোনার গয়না, জমানো লক্ষাধিক টাকা ৷ মাথার ছাদ হারানোর পর অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে একমাত্র মেয়ের বিয়েও৷ যার ফলের বউবাজারের ১৩ এ দুর্গা পিতুরী লেনের বাড়ির কর্তার মাথায় হাত।
বাড়ি ভাঙার পরেই যেন মাথায় বাজ পড়েছিল শীল পরিবারের। মঙ্গলবার বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন এই তিনতলা বাড়িটি এখন ধ্বংসস্তূপ মাত্র। শীল পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িরই মেয়ে তৃষা শীলের বিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে আগামি ২২শে জানুয়ারি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ-র ছাত্রী তৃষা। আর কয়েকমাস পরেই বিয়ে। বিয়ের প্রস্তুতির আনন্দে মাতোয়ারা ছিল পুরো পরিবার। কিন্তু রবিবার বিকেল থেকেই সব যেন এক লহমায় নিভে গেল।
তৃষার মা সোনালি শীল বলেন, আগামী ২২শে জানুয়ারি মেয়ে তৃষার বিয়ে স্থির হয়েছিল। পাত্র উত্তর কলকাতার রামমন্দিরের বাসিন্দা কৌস্তভ। বিয়ের কেনাকাটাও সব হয়ে গিয়েছে। বিয়ের শাড়ি, ধুতি, প্রণামী এমনকি গয়নাগাটি সহ প্রায় লাখখানেক টাকার সবটাই রয়েছে সেই বাড়িতে। বাড়ির আলমারি মধ্যে রয়েছে বিয়ের সব গয়না। প্রায় ১২ লাখ টাকার গয়না রয়েছে আলমারিতে। কোনওভাবে একটু বাড়িতে ঢুকে সেই জিনিসগুলো নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা।
না সেসবের দরকার পড়েনি। এমনিতেও সেই বাড়িতে ঢোকার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই বাড়িরই বাসিন্দাদের জন্য এবার নতুনভাবে আশার আলো আনল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ঘোষণা। এদিন নবান্নে মেট্রো ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘শীল পরিবারের মেয়ের বিয়ের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেবে রাজ্য সরকার৷ এমনকি আর্থিক ক্ষতিপূরণস্বরূপ টাকা দেবে মেট্রোও ৷’ এই ঘোষণার পরেই আপাতত একটু আশার আলো দেখছে শীল পরিবার।