আসামকে বাদ দিয়ে এনআরসির প্রেক্ষাপটে এবার গোটা দেশে শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি সুমারি। প্রতিটি ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু হবে বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল। রেজিস্ট্রার জেনারেল অব সিটিজেন রেজিস্ট্রেশন বিবেক যোশির নামে ভারতীয় গেজেটে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
আসামের ক্ষেত্রে যেহেতু জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ চলছে, তাই এই সুমারিতে আপাতত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যকে বাদ রাখা হচ্ছে। পরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তখন আসামের সুমারি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
কে কোথায় থাকেন, লিঙ্গ কী, জন্মতারিখ, স্থায়ী অস্থায়ী ঠিকানা, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, কী ভাষায় কথা বলেন ইত্যাদি তথ্য রেকর্ডবন্দি করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই সুমারির কাজ চলবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি কেন্দ্রকে সাহায্য করতে হবে। সুমারিতে বাসিন্দা হিসেবে আধার কার্ড দেখতে চাইবে গণনাকর্মীরা। তা না থাকলে ভোটার পরিচয়পত্রের মতো তথ্য। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের আধার নেই, তাদের ক্ষেত্রে বাবা মার কথাতেই প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস করা হলেও বার্থ সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হবে।
সুমারির সুবিধার্থে নাগরিকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ভারতের নির্বাচন কমিশনও। ভোটারদের নামের সঠিক তালিকা তৈরিতে চালু করা হল বিশেষ ব্যবস্থা। এদিকে, অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে, তাদের যাতে কোনওভাবেই দেশ থেকে তাড়িয়ে না দেওয়া হয়, তার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা জমা পড়তে চলেছে। সাংবিধানিক অধিকার এবং মানধিকারের প্রশ্ন সামনে রেখেই ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চলেছে পূর্ববঙ্গীয় ভারতবাসী কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠন।