হুগলি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে আজ গুড়াপে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, মুখ্যসচিব সহ একঝাঁক প্রশাসনিক কর্তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আসবেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, কংসারি মোড়ের কাছে গুড়াপের একটি মাঠকে ঘিরে সেখানেই প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা বৈঠকস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। প্রশাসন ও পুলিসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে মহেশ্বরপুরে অনুষ্ঠানসূচি বাদ গিয়েছে। তবে বেশ কিছু উদ্বোধন ও শিলান্যাস কর্মসূচি থাকতে পারে ধরে নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ কর্তারা প্রস্তুতি রেখেছেন।
নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বৈঠকস্থল। ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই মঞ্চের দখল নিয়েছে পুলিশ। হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আসা এবং তাঁর কলকাতায় ফিরে যাওয়ার জন্য সড়ক পথে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুষ্ঠ প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য পুলিশ প্রস্তুত।’’
জানা গেছে তিনি বর্ধমান থেকেই হুগলির পথে রওনা দেবেন। দুপুর ২ টো থেকে তাঁর হুগলির বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর হুগলির সফরসূচির সবদিক খতিয়ে দেখতে সোমবার জেলাশাসক রত্নাকর রাও, পুলিশ সুপার-সহ জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের সব পদস্থ আধিকারিকেরা কংসারীপুর ময়দানে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের ১৬টি এবং চন্দননগর কমিশনারেটের সাতটি থানার ওসি এবং আইসি-রা থাকছেন। জেলার সব ডিএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনারেটের ডিসি, এডিসিপি-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারাও বৈঠকে হাজির থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর হুগলির সফরসূচির জন্য কড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন মোট চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১২ জন ডেপুটি পুলিশ সুপার ছাড়াও ১০০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের আধিকারিক। থাকছে ৪০০ মহিলা ও পুরুষ কনস্টেবল। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলা থেকেও পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরাও আসছেন বৈঠকস্থলে।
এদিকে, সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে ডানকুনিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী দলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। সেখানে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। একইভাবে এলাকাভিত্তিক কিছু বিশেষ দলীয় কাজের নির্দেশও জেলা সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে।