গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বিল পাশ করিয়ে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন তিনি। আর তারপর থেকেই স্তব্ধ ভূস্বর্গ। এখনও চালু হয়নি ইন্টারনেট পরিষেবা। কার্ফু উঠলেও মোড়ে মোড়ে বহাল সেনার কড়া নজরদারি। যার ফলে স্কুল-কলেজ-দোকানপাট খুললেও দেখা গেছে স্বতঃস্ফূর্ততার অভাব। অধিকাংশ স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা হাতে গোনা। সরকারি অফিসেও হাজিরা নামমাত্র। এরই মধ্যে এবার জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের জনমনে ক্রোধ চরম পর্যায়ে রয়েছে। যে কোনও সময় সেই ক্রোধের চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যকলাপে।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫এ প্রত্যাহারের পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। লাদাখকে কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে এখনও পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা দেখা না গেলেও, গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ফুঁসছে জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ। ৩৭০ বিলোপের পর একটা উদ্বেগ কাজ করছে কাশ্মীরিদের মধ্যে। বন্দী করা হয়েছে তাঁদের নেতাদের। কেউ গৃহবন্দী তো কেউ আবার কারাগারে। যার ফলে কাশ্মীর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে বা সেখানে কাজ করেছেন, এমন একাধিক অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা কাশ্মীরে অশান্তির আশঙ্কা করছেন। কেন্দ্র যাতে কাশ্মীর নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলি দ্রুত শুরু করে, সেই পরামর্শও তাঁরা দিয়েছেন।