গত সোমবার কলকাতা লীগের ম্যাচে সার্দান সমিতির সাথে ১-১ ড্র করার পরই গতকাল মহমেডান কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। সেই বৈঠকেই বিস্তর টালমাটাল আর বিতর্কের পর মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কোচ থেকে সরানো হল সুব্রত ভট্টাচার্যকে। জানা গেছে, দলের নয়া কোচ হচ্ছেন জুনিয়র দলের কোচ সঈদ রমন। আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হচ্ছেন দীপেন্দু বিশ্বাস।
পাঁচ ম্যাচের পরেই সুব্রত ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্তর টালবাহানা শুরু হয়েছিল মহমেডানে। তীর্থঙ্কর সরকাররা সোমবার সাদার্ন সমিতির সঙ্গে ম্যাচ ড্র করার পরেই কোচ নিয়ে কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক ডেকে ছিলেন ক্লাব সচিব কামারুদ্দিন। গতকাল সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে সভা হয়। সেদিন সচিব বলেছিলেন, ‘কোচের সঙ্গে ফুটবলার ও কর্তাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। এরিয়ানের পর আবার পয়েন্ট নষ্ট হল। আমাদের হাতে আর মাত্র নয়টি ম্যাচ আছে লিগের। কোচের কাজে ও ব্যবহারে আমরা খুশি নই। কোচ তো দেখছি ভাল ফুটবলার নামাতেই ভুলে যাচ্ছেন।’
কোচ বদলের কথা সরাসরি বলা হয়নি সাদা-কালো সচিবের তরফে। কিন্তু হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিছু সিনিয়র ফুটবলার ও কর্তাদের সঙ্গে সুব্রতর বেশ কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে দলে। গোলকিপার প্রিয়ান্ত সিংহ-সহ একাধিক ফুটবলারকে বসিয়ে রাখছেন সুব্রত। যাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। কর্তাদের চাপে এ দিন প্রথম মাঠে নেমে দুর্দান্ত খেলেন প্রিয়ান্ত। নিশ্চিত দুটি গোল বাঁচান। অনুশীলনের সময় প্রিয়ান্তের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছিল কোচের। তারপর তাঁকে অনুশীলনে নামতে দেননি সুব্রত।
সুব্রত ভট্টাচার্য আবার বলেছেন, ‘দলের শৃঙ্খলা রাখতেই কড়া হতে হচ্ছে আমাকে। কর্তারা বললেও আমি শুনব না।’ ক্লাবসূত্রে খবর, সুব্রতকে সরিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নাইজিরীয় কোচ সঈদ রমনকে আনার কথা ভাবছেন কর্তাদের একাংশ। আপাতত কলকাতা লিগে সপ্তাহ খানেক কোনও ম্যাচ নেই সাদা কালো ব্রিগেডের। তাদের ধারণা নতুন কোচ আনলে সমস্যা হবে না। আর তাই সঈদ রমনই আপাতত কোচ হচ্ছেন মহামেডানের।