‘দাদা’র মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন ‘বোন’। মঙ্গলবার প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোকজ্ঞাপন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে এদিন একটি টুইট করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘সাংসদ ও লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথদাকে (চ্যাটার্জি) মৃত্যুদিবসে প্রণাম’। প্রবীন রাজনীতিবিদকে বরাবরই ‘দাদা’ সম্বোধন করতেন মমতা। শেষ জীবনে সোমনাথবাবু ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর রাজনৈতিক সমালোচক। তাতে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক থেকে সৌজন্যে ভাঁটা পড়েনি কোনওদিন। মৃত্যুবার্ষিকীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনেও তাই ‘সোমনাথদা’ই লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর স্মরণসভার আয়োজন নিয়ে দোলাচলে ছিল সিপিএম। সোমনাথবাবুর মৃত্যুর পরেই একেজি ভবন থেকে বিবৃতি পাঠের বহর দেখেই এমন সন্দেহ দানা বেঁধেছিল রাজ্যবাসীর মনে। সেই বিবৃতিতে সোমনাথবাবুকে দশ বারের সাংসদ বলা হলেও উল্লেখ করা হয়নি তাঁর দলের নাম। সেই সময়েই রাজ্যবাসীর একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিসের সংশয় সিপিএমের? রাজ্যের নেতারাই বা কেন সোমনাথবাবুর স্মরণসভার আয়োজনের কথা খোলাখুলি জানাতে পারছে না দিল্লীকে? তখনই বোঝা গিয়েছিল, দিল্লীর কারাতদের কাছে বাংলার আলিমুদ্দিন ঠুঁটো জগন্নাথ।
সেই সময়েও সোমনাথবাবুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত স্মরণসভাতেও আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতেও সেই সৌজন্যের রাজনীতির পরিচয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাংলার বিধানসভায় দেওয়া হয় গান স্যালুট।