ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ বাছাইয়ের জন্য কপিল দেবদের নতুন কমিটিকে সবুজ সঙ্কেত দিল সিওএ। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বিরাট কোহালিদের কোচ কে হতে চলেছেন। সোমবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এ কথা জানিয়েছেন সিওএ প্রধান বিনোদ রাই।
সিওএ প্রধান বিনোদ রাই সোমবার বলেছেন, ‘আমরা তিনজনের বিষয়টিই দেখে নিয়েছি। কোনও সমস্যা নেই। আগস্টের মাঝামাঝির মধ্যে কোচেদের বাছাই তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। তারপর শুরু হবে ইন্টারভিউ।’
কপিল দেব ধারাভাষ্য দিয়েছেন বিশ্বকাপে। কিন্তু এখন আর ধারাভাষ্য দিচ্ছেন না। তাই কমিটির প্রধান হিসেবে কপিল দেবের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের কোনও প্রশ্ন নেই। গায়কোয়াড় ও রঙ্গস্বামীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
নতুন প্যানেলে কপিল দেবের পাশাপাশি রয়েছেন অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামী। তাঁদের সামনে এ বার বড় দায়িত্ব। রাই বলেছেন, ‘‘আমরা সিএসি নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সিদ্ধান্ত নিতে কোনও সমস্যা হয়নি।’’ এ দিন বিনোদ রাই আবারও জানিয়েছেন, লোঢা কমিটির সুপারিশ পুরোপুরি না মানলে সেই সংস্থাকে ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচনে ভোট দিতে দেওয়া হবে না।
যদিও সিওএ-র সদস্য ডায়ানা এডুলজি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘এই রায়ে আমার কোনও সম্মতি ছিল না। তিন জনের বৈঠকে আমি ১-২ ভোটে হেরেছি। বিনোদ ও রবি (থোড়গে) প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমি বরাবরই বলে এসেছি অ্যাড-হক কমিটি কোচ বাছাই করতে পারে না। বোর্ডের গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত।’’ যদিও এডুলজির বক্তব্য ভাল ভাবে নিতে পারেনি বোর্ড। এ দিন বোর্ডের জনৈক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘সিওএ-র শেষ বৈঠকে তো সদস্যরা নতুন প্যানেল গঠন করতে চাইছিলেন না। হতে পারে কমিটির সদস্যদের কারও রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার বিষয়ে অনীহা রয়েছে।’’ বরং প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের নাম না করে ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এখন তো সকলেই এটা জেনে গিয়েছেন, কোনও এক প্রাক্তন ক্ষমতাধর বোর্ড প্রেসিডেন্ট নতুন ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন। ফলে অন্য কিছু নিয়ে এই মুহূর্তে আমরা ভাবতে চাই না।’’