জম্মু–কাশ্মীর নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে তর্জা চলছেই। তারমধেই গতকাল তুলে দেওয়া হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা। রইল না আলাদা কোনো বিশেষ সুবিধার। তার মধ্যেই এরই মধ্যে কাশ্মীরে উড়ল প্রথম মহিলা ফুটবল দলের ধ্বজা। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বছর আই লিগে কাশ্মীর থেকে প্রথম দল হিসেবে খেলেছিল রিয়েল কাশ্মীর। দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল। এবার সিনিয়র মহিলা আই লিগেও কাশ্মীরের প্রথম মহিলা দল হিসেবে খেলবে লোনস্টার কাশ্মীর এফ সি।
জম্মু–কাশ্মীরকে ভেঙে জম্মু–কাশ্মীর এবং লাদাখ— দুটি আলাদা রাজ্যের প্রস্তাব পেশ। তাতে জম্মু–কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদাও হারাচ্ছে। এ সব রাজনৈতিক কচকচানি ভুলে নতুন দলকে নিয়েই মেতে থাকতে চান কাশ্মীরের মহিলা ফুটবলাররা। নতুন দলের উন্মোচনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ইসফাক আহমেদ। ফোনে তিনি বলেন, ‘এটা কাশ্মীরবাসীর জন্য দারুণ খবর। গতবছর রিয়েল কাশ্মীরের পর এবার আরও একটা দল। তাও আবার মেয়েদের টিম। আমার শুভকামনা রইল দলের জন্য। সাফল্য পাক। অনেক দূর এগোক।’ ইসফাক এই দলে টেকনিক্যাল পরামর্শদাতা। কোচিং করাবেন নাদিয়া নিঘাত।
কাশ্মীরের টিআরসি মাঠে অনুশীলন করবে মহিলা দল। তবে বছর চারেক আগে এই দলের পুরুষদের দল দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে অংশগ্রহণ করেছিল। লোনস্টার কাশ্মীর এফ সি–র চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে সফল হলাম। আমাদের এখানকার মেয়েরা ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। টিআরসি মাঠে ওরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে প্র্যাকটিস করত। দিনের পর দিন নিেজরাই অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছে। তারপর আমাদের ক্লাব ম্যানেজমেন্ট আলোচনায় বসে মেয়েদের দল তৈরির পরিকল্পনা করি। কাশ্মীরের পরিস্থিতি কীরকম তা সকলেই জানেন। সেই জায়গা থেকে এই মহিলা দল নামানো আমাদের কাছে বিরাট প্রাপ্তি।’ তঁার সংযোজন, ‘আশা করি এই দলকে নিয়ে এগিয়ে যাব। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ইসফাক, মেহেরাজরা এগিয়ে এসেছে। অনেক সাহায্য করছে।’ মহিলা দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন দুই প্রধানে খেলা ফুটবলার মেহেরাজ। বলেন, ‘দারুণ খুশি। দলের পাশে থাকব সবসময়। শুভেচ্ছা রইল। সাফল্য পাক।’ বদলাচ্ছে কাশ্মীর। গোলা–গুলি, বারুদের গন্ধ, অশান্তি— এরই মাঝে শ্রীনগরের মহিলারা ফুটবলকে আঁকড়ে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখছে। পথচলা শুরু করল লোনস্টার এফ সি মহিলা দল।