দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে এর আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এবার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শাহিদ খাকান আব্বাসি। বৃহস্পতিবার লাহোরে ঢোকার মুখে তাঁর গাড়ি থামিয়ে আব্বাসিকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সাধারণ সম্পাদক এহসান ইকবাল।
এদিন ইকবাল জানান, “দলীয় আলোচনাসভা ও সাংবাদিক বৈঠক সারতে আমরা লাহোর যাচ্ছিলাম। রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রেঞ্জাররা আমাদের দাঁড় করায়।” তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতারি চ্যালেঞ্জ করতে তাঁদের দল প্রয়োজনীয় আইনি কাগজপত্র এবং জামিনের প্রক্রিয়া প্রস্তুত করছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘দায়বদ্ধতা’ অভিযানে গ্রেফতার হওয়া হাই প্রোফাইল নেতাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম সংযোজন আব্বাসি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৭-১৮ সালে লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) চুক্তি সই সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুসলিম লিগ প্রধান তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সরিয়ে দেওয়ার পরে সেই পদে বসেন আব্বাসি। একবছর পরে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
পঞ্জাব প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও দুর্নীতির অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে আটক করা হয় শরিফ পরিবারের অন্যান্য কয়েক জন সদস্যকেও। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এহসান ইকবাল-সহ পাক মুসলিম লিগের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধেও। ইমরান খানের এই ‘দায়বদ্ধতা’ অভিযান আসলে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ বিরোধী শিবির।