২০০৮ সালের কুখ্যাত ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে অবশেষে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিশ। আজ সকালে তাঁকে লাহোর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুজরানওয়ালা থেকে লাহোর যাওয়ার পথে তিনি গ্রেফতার হন। আপাতত তাঁকে জেল হেপাজতে পাঠানো হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানোর দায়ে জুলাই মাসের শুরুতেই গ্রেফতার হন মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী হাফিজ। পাকিস্তানে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ২৩ টি মামলা আছে। কিন্তু সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণপত্র কোর্টে পেশ করেনি। সেই কারণে পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদ। কিন্তু আজ সকালে পাকিস্তানের পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, গুজরানওয়ালা যাওয়ার পথে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট। তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের পাঁচ মাস পর অসামরিক বিমানের জন্য পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরদিনই গ্রেফতার হলেন হাফিজ সইদ। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আন্তর্জাতিক চাপেই হাফিজ মহম্মদ সইদকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে ইমরান খানের সরকার। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স নামে এক আন্তর্জাতিক সংস্থা কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের ওপরে চাপ দিচ্ছে যাতে তারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাঁচটি ট্রাস্টের মাধ্যমে হাফিজ সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। সেই অর্থ পায় মূলত লস্কর ই তৈবা নামের জঙ্গি সংগঠনটি। তারা ২০০৮ সালে মুম্বই শহরে বড় ধরনের হামলা করে। ১০ জন বন্দুকধারী শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুলি চালায়। ১৬৫ জন নিহত হন। লস্কর প্রধান হাফিজ সইদকে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আমেরিকা ঘোষণা করেছে, তাঁকে শাস্তি দেওয়ার মতো প্রমাণপত্র যদি কেউ দিতে পারে তাকে ১ কোটি ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।