একবিংশ শতাব্দীতেও কুসংস্কারের বাঁধন থেকে বেরোতে পারেনি সাধারণ মানুষ। বেশ কিছুদিন আগে আসামের কামাখ্যা মন্দিরের সামনে এক তান্ত্রিকের দ্বারা নরবলির ঘটনা সামনে এসেছিল। এবার কলকাতা থেকে অনতিদূরে বারুইপুরে এক তান্ত্রিকের বাড়ি থেকে মিলল যুবকের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের বেতবেড়িয়া রামকৃষ্ণ পল্লীতে। সেই তান্ত্রিক এখন পলাতক। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে তান্ত্রিক সত্য হাওলাদারের বাড়িতে আসেন এক যুবক। ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে আসা ওই যুবকের নাম কুদ্দুস সর্দার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক মহিলাও। স্থানীয় লোকজনের দাবি দুপুরে আসার পর আর তাদের বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি।
সত্য হাওলাদারের প্রতিবেশীদের আরও দাবি, সন্ধ্যে নাগাদ ওই মহিলার সঙ্গে বেরিয়ে যান সত্য। সন্ধ্যের পর তান্ত্রিকের ছেলে ঘরে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কুদ্দুস সর্দার। বেতবেড়িয়া ফাঁড়ি পুলিস এসে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এলাকার শ্মশানে প্রায়ই দেখা যায় সত্যকে। বাড়িতেও হোম যজ্ঞ করে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এসব নিয়েই থাকে সে। কিন্তু কীভাবে তার ঘরে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেল তা নিয়ে রহস্য রয়েছে।