ভোট পরবর্তী অশান্তি বাংলায় অব্যাহত। একদিকে বীরভূমের সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিজেপি–র বিরুদ্ধে। আবার অন্যদিকে, নারায়ণগড়ের কুশবসান পঞ্চায়েতের গেনুয়া রেড়িপুর গ্রামে বুধবার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বার বার বিজেপির হিংসার মুখে পড়তে হচ্ছে সব জায়গায়।
বীরভূমে তৃণমূল নেতার বাড়ি বোমাবাজির ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দুক–পিস্তল উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। সদাইপুর থানার ওসি–সহ কয়েকজন পুলিশকর্মীর থেকে অল্প দূরেই বোমা পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। বুধবার সকালে সাহাপুর গ্রামের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে টহল দিচ্ছে।
অন্যদিকে, নারায়ণগড়ের কুশবসান পঞ্চায়েতের গেনুয়া রেড়িপুর গ্রামে বুধবার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সকাল থেকে লোক জমা করে অতর্কিতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কাটমানির অভিযোগ তুলে এলাকায় বিজেপির নেতৃত্বে বাসিন্দাদের একটা অংশ জমায়েত হন। এই ঘটনাকে কন্দ্রে করে উত্তেজনাও দেখা দেয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “এদিন সকাল থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা এলাকায় জমা হয়ে তাণ্ডব শুরু করে দেয়। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার জানা, দলের নেতা অনুকূল সাউ, পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম দোলই সহ কয়েকজনের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। সুকুমারবাবু সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না”।