স্বপ্ন থাকলেও সামর্থ্য থাকে না অনেকেরই। তাই পূরণ করা হয় না সেইসব স্বপ্নগুলোও। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ রায়েরও হয়েছিল সেই একই অবস্থা। বয়স বেড়ে যাচ্ছে মেয়ের, বিয়ে দিতে হবে… এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাবনাই সার, বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্যটুকুও যে তাঁর নেই। তাই মেয়ে নন্দিনীর বিয়ের চিন্তায় মূহ্যমান হয়ে ছিলেন বাবা কৃষ্ণপদ রায়।
কিন্তু মুশকিল যখন থাকে, তার মুশকিল আসানও থাকে। সেই সেটাই সম্ভব করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত রূপশ্রী প্রকল্প। মানবিক জনমুখী প্রকল্প রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকাই শেষ পর্যন্ত ঘটালো মধুরেণ সমাপয়েৎ।
জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের টাকা পেলেন মেয়ের বাবা কৃষ্ণপদ রায়। আর তারপরেই রীতিমতো বিয়ের অনুষ্ঠান করে ধুমধাম করে মেয়ে নন্দিনীর বিয়ে দিলেন তিনি। বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের তৃণমূল নেতারাও। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরে সেই নেতাদের মাধ্যমেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক পরিস্থিতিই ছিল না, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে সেই বিয়েই সম্পন্ন হল ঘটা করে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পাত্রী নন্দিনীও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের টাকা না পেলে তাঁর বিয়েই হত না।