কোয়েম্বাত্তুরে যুদ্ধ বিমান ‘তেজস’ থেকে তেলের ট্যাঙ্ক আকাশ থেকে সোজা খসে পড়ল কৃষকের চাষের জমিতে৷ সেই জ্বালানি ট্যাঙ্কে ১২০০ লিটার তেল ছিল৷ ট্যাঙ্ক খসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমিতে আগুন ধরে যায়৷ তবে সেই সময় জমিতে কেউ না থাকায় জমির ক্ষতি হলেও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি৷ অন্যদিকে তেজসের বিমান চালকও অক্ষত অবস্থায় অবতরণ করেছেন৷ আগুন দেখে স্থানীয় মানুষরা ছুটে আসেন৷ তাঁরা পুলিশকে খবর দেন৷ পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে৷ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল৷ এর আগে ‘জাগুয়ার’ থেকেও তেলের ট্যাঙ্ক মাটিতে পড়ে ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়েছিল৷ বায়ুসেনা ‘তেজস’ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷
হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড( হ্যাল) ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান তৈরি করে৷ এই যুদ্ধবিমান একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়৷ এখানে যুদ্ধবিমানটির শত্রুপক্ষকে আঘাত আনার পদ্ধতি পুরোটাই কম্পিউটারচালিত৷ এই যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে আলাদা তেলের ট্যাঙ্ক থাকে৷ তেলের ট্যাঙ্ক নিয়ে আকাশ পথে পাড়ি দেয়৷ তেজস এমনি যুদ্ধ বিমানের চেয়ে আকারে ছোট হয়৷ জ্বালানি খসে পড়ার পর তেজস ও তার চালক কোয়েম্বাত্তুরের সুলু সেনা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে৷ জানা গেছে, এদিন তেজসের উড়ান পরীক্ষা করা হচ্ছিল৷
হ্যালকে সামরিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগ প্রায়শই করেন বিরোধীরা৷ অথচ হ্যালের তৈরি তেজস প্রায় দুর্ঘটনার মুখে পড়লো৷ বর্তমান বাজারে হ্যাল সমরাস্ত্র তৈরিতে বিশ্ব বাজারে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে৷