আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আচ্ছে দিন তো আসেইনি। বরং মোদীর আমলেই প্রত্যেক দিন আরও খারাপ হয়েছে মানুষের হাল। এবার মোদীর আচ্ছে দিনের গুঁতোয় উঠেই যেতে বসেছে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল।
বিএসএনএল-এর বাজেট ও ব্যাংকিং ডিভিশনের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার পুরন চন্দ্রা জানিয়েছেন, ‘প্রতি মাসে রেভিনিউ ও খরচের মধ্যে বিপুল ফারাক এসে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক সাহায্য় এখনই না এলে খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব।’ এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে পরামর্শ চেয়েছে বিএসএনএল। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইক্যুইটির হিসেব অনুযায়ী ২০১৮-র ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএনএল-এর ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৯০,০০০ কোটি টাকা।
দ্রুত অর্থ সাহায্য না করলে খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কর্মীদের বেতন বাবদ ৮৫০ কোটি টাকা-সহ ১৩,০০০ কোটি টাকার বিপুল খরচ আর টানা যাচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন এই বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছর ধরেই বিএসএনএল-এর গ্রাফ নিম্নমুখী। অতিরিক্ত কর্মচারীর বিপুল মাইনে, খারাপ ম্যানেজমেন্ট, অকারণ সরকারি হস্তেক্ষেপের জেরে ধুঁকছে এই সরকারি সংস্থা। বিএসএলএল-এর মোবাইল সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাজারের মোটে ১০%।
এই বিষয়ে খোঁজখবর নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই সমাধান এখনও অধরা। যেখানে কেন্দ্রের সহায়তা থাকলে আবার প্রাণ ফিরে পেত বহুদিনের এই সংস্থাটি, সেখানে মোদী সরকারের গাফিলতির কারণেই নিশ্চিহ্ন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএসএনএল।