গত রবিবার অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। সেই দুর্দান্ত ম্যাচের পরে পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময়। তবুও এখনও বিরাটে ডুবে সকলে। সেদিন যেমন স্মিথের পাশে থাকার জন্যে প্রশংসিত হচ্ছেন বিরাট তেমনই মাঠে দাপট দেখানোর জন্যেও আলোচিত হচ্ছেন ভারত অধিনায়ক।
মাঠে স্মিথকে টিপ্পনী কাটায়, ব্যাটিং থামিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের দিকে হাত তুলে সেদিন কোহলি বলেছিলেন, ‘এটা কী হচ্ছে। স্মিথের জন্য হাততালি দিন।’ ক্রিকেট মাঠে ভারত অধিনায়কের যে স্পিরিট, তা দেখে মুগ্ধ সুনীল গাভাসকার, স্টিভ ওয়। গাভাসকার বলেন, ‘ঘটনাটা ম্যাচের মাঝেই ঘটেছিল সেদিন। ম্যাচ তখন এমন মোড়ে ছিল যে, কোহলির মাথায় বৃহত্তর ভাবনাটা না–ও আসতে পারত। স্মিথ নিজেও টিপ্পনী শুনে চুপ ছিল। কিছু করেনি। এমনকী পরে বলেছে, ও নাকি নিজে বুঝতেও পারেনি ব্যাপারটা। কিন্তু কোহলি যা করেছে, তা সত্যিই দুর্দান্ত। স্পোর্টসম্যান স্পিরিট বলতে আমরা এটাই বুঝি।’
কোহলি যেভাবে স্মিথের হয়ে নিজের দেশের সমর্থকদের বিরুদ্ধে গেছেন, তা দেখেই আপ্লুত স্টিভ ওয়। বলেছেন, ‘নেতৃত্ব আর নেতাকে চেনা যায় নানা দিক দিয়ে। অনেক কিছু বিচার করে। বিরাট কোহলি যেভাবে নিজের দেশের সমর্থকদের ওপর বিরক্তি দেখিয়েছে, প্রতিবাদ করেছে, তা নিঃসন্দেহে তারিফ করার মতোই আচরণ। অসাধারণ মনোভাব।
অন্যদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার পরামর্শেই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সংযমী ব্যাটিং করেছিলেন বিরাট কোহলি। জল্পনা নয়, এমনটা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন বিরাট। অজিদের বিরুদ্ধে তাঁর ৭৭ বলে ৮২ রানের ইনিংসে মাত্র চারটি বাউন্ডারি ও দুটি ৬ মেরেছিলেন বিরাট। অথচ, উল্টোদিকে থাকা হার্দিক ২৫ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। হার্দিককে দেখে কি সেই রাস্তায় হাঁটতে ইচ্ছে করেনি? জবাবে বিরাট বলেন, ‘ভাবনাটা মাথায় এসেছিল ৫০ করে ফেলার পর। তখন হার্দিকের সঙ্গে আলোচনায় ও বলেছিল, অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’ এমনকী সেদিন অধিনায়ককে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন হার্দিক। বিরাটের কথায়, ‘উল্টে হার্দিক বলেছিল উইকেটের অন্যদিক থেকে তুমি আমাকে নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দাও। সে জন্যই আমি দায়িত্ব নিয়ে একদিক আগলে রেখেছিলাম।’