এখন অনলাইনের যুগ। খাওয়া দাওয়ার অর্ডার থেকে জামা কাপড় কেনা, ঘুরতে যাওয়ার টিকিট কাটা, হোটেল বুক করা, ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া ইত্যাদি সব কাজই এখন অনলাইনে হয়ে যায়। এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার অনলাইনে পালন হল জামাইষষ্ঠী!
ডিজিটাল যুগে অনলাইন জামাইষষ্ঠী। ফেসবুকে লাইভে উপস্থিত জামাই। স্ক্রিনেই জামাইকে ফোঁটা দিলেন শাশুড়ি। চাকরির সুবাদে সশরীরে উপস্থিত হতে পারেনি জামাই। তাই বিকল্প ব্যবস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন জামাইষষ্ঠীতে হাজির হলেন জামাই। জামাইষষ্ঠী হল, আর ভূরিভোজ হবে না? পছন্দমতো বিভিন্ন পদের টাকাও অনলাইনেই পৌঁছে গেল জামাইয়ের কাছে। জামাইয়ের পছন্দের বিভিন্ন খাবারের টাকা অনলাইনে জামাই বাবাজীবনের অ্যাকাউন্টে ফেলে দিলেন শাশুড়ি। কাজের সূত্রে জামাই প্রবাসী৷ থাকেন হরিদ্বারে৷ জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে ছুটিও মেলেনি৷ অথচ বিয়ের প্রথম বছরের জামাইষষ্ঠী৷ তাই প্রযুক্তিই ভরসা৷ জামাই বাবাজীর এক বুদ্ধিতেই মিলে গেল মহিষাদল আর হরিদ্বার৷
বিয়ের কয়েক দিন পরেই চাকরির সূত্রে হরিদ্বার চলে যেতে হয় জামাইকে। হাজার চেষ্টা করেও ছুটি পাওয়া গেল না৷ প্রথম বছরে জামাইষষ্ঠী মিস্, এই ভেবে কয়েক দিন মন খারাপ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের শাশুড়ি জামাই এমনকি মেয়ের। বাবা মায়ের ডাকে মেয়ে সান্ত্বনা দিতে চলে যায় বাবার বাড়ি। কিন্তু দুই তরফের মনখারাপের সহজ সমাধান করে দিল সোশ্যাল মিডিয়া৷
ফেসবুক লাইভ সব সমস্যার সমাধান হয়ে এল মহিষাদলের এই পরিবারে৷ জামাইষষ্ঠী পালন করতে তাই একেই কাজে লাগালেন দেবীপ্রসাদ হাজরা। আর সেই আইডিয়া থেকেই জামাইষষ্ঠীর সকালে আনন্দে মেতে উঠল বাড়ি। সশরীরে জামাই উপস্থিত না থাকলেও ফেসবুক লাইভে সম্পূর্ণ হল জামাইষষ্ঠী।
খামতি রইল না আর কোনও আয়োজনেরই। কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। ডিজিটাল যুগের জামাই হয়ে দেবীপ্রসাদ হাজরাও সেটাই করে দেখালেন। একমাত্র মেয়ের জামাইকে ফোঁটা দিতে পেরে দিলখুশ শাশুড়ির। ওদিকে শাশুড়ির কাছ থেকে পছন্দমতো ভূরিভোজের টাকা পেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন জামাইও।