বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচেই ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা বধ হয়ে গেছে। এবার সামনে অস্ট্রেলিয়া, রবিবার ম্যাচ ওভালে। তাই দলের যাবতীয় খামতি দূর করতে মনোযোগী সকলেই।মাঠে যতটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন বুমরা, নেটে অনুশীলন চলার সময়েও তাঁকে এতটাই ভয়ঙ্কর লাগে। যা দেখে তেন্ডুলকরও বলেছেন, “বুমরা ভারতের অন্যতম অস্ত্র। বিশ্বের এক নম্বর বোলার ও”।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে উঠে বিরাট কোহলির এক নম্বর অস্ত্র বলে দেন, ‘‘প্রত্যাশার চাপ নিয়ে আমি কখনও ভাবি না। আমি শুধু দেখি, দল আমার থেকে কী চাইছে। আমি মনে করি না, আমার এমন কিছু সুনাম আছে যার প্রতি সুবিচার করতে হবে। সব কিছু সোজা সরল রাখতে চাই আমি।’’
বিরাট কোহলিও মুগ্ধ তাঁর সেরা বোলারের পারফরম্যান্সে। ভারত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘বুমরা মনে করে, বোলার পিচ থেকে সাহায্য পাক না পাক, গুডলেংথ স্পটে বলটা ফেলতে পারলে ব্যাটসম্যান সমস্যায় পড়বে। বুমরা এখন দুরন্ত ছন্দে বল করছে। ব্যাটসম্যানরা কিছু বুঝতেই পারছে না ওর বল। হাসিম আমলাকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ওই ভাবে আউট হতে আমি কখনও দেখিনি।’’ প্রসঙ্গত বুমরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন আমলা।
বুমরা নেটে কতটা পরিশ্রম করেন, সেটা বোঝা যায় স্বয়ং অধিনায়ক কোহালির কথায়। কোহালি পরিষ্কার জানিয়েছেন, ম্যাচের মতো নেটেও ভয়ঙ্কর বুমরা। ‘‘বুমরার বিরুদ্ধে খেলতে হলে নিখুঁত টেকনিক আর ভাল ক্রিকেটীয় শট খেলতে হবে। ও যদি বুঝে যায় এক জন ব্যাটসম্যানের কোনও একটা বিশেষ ডেলিভারি খেলতে সমস্যা হচ্ছে, তা হলে সেই বলটাই করে যাবে। যেমন, কোনও ব্যাটসম্যান যদি নেটে শর্ট বলে অস্বস্তিতে পড়ে, তা হলে সেই বলটাই ও টানা করবে,’’ বলেছেন কোহালি। পাশাপাশি ভারত অধিনায়ক এও বলেন, ‘‘বুমরাকে ম্যাচে যেমন গতি আর তীব্রতার সঙ্গে বল করতে দেখেন, নেটেও ও একই ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে বল করে। ও মাথায় রাখে না, উল্টো দিকে কে দাঁড়িয়ে আছে। বুমরা নেটেও ব্যাটসম্যানদের বাউন্সার দেবে, বোল্ড করার চেষ্টা করবে আবার নতুন বলে ইয়র্কারও দেবে।’’
নেটে যে শুধু নিজের বোলিংকেই ধারালো করেন বুমরা, তা নয়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরও তৈরি করে দেন ম্যাচে নেমে ফাস্ট বোলারদের খেলার জন্য। কোহালি নিজেই বলেছেন, ‘‘নেটে আমরা এমন এক জন বোলারের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছি, যে ম্যাচের মতোই নিজেকে নিংড়ে দিয়ে নেটে বল করে। এ রকম এক জন বোলারের বিরুদ্ধে অনুশীলন করে আপনি যখন ম্যাচ খেলতে নামবেন, আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বেড়ে যাবে।’’
বুমরা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সাফল্যের পিছনে রোজ কতটা পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। ‘‘সবাই দেখতে পায় না যে এর পিছনে কতটা পরিশ্রম রয়েছে। ম্যাচে নামার আগে অনুশীলনে আমি সব ধরনের বোলিং প্র্যাক্টিস করি। তা নতুন বলে বল করাই হোক বা নতুন কোনও ডেলিভারিই হোক। প্রস্তুতিটা নিখুঁত হলে বাকি থাকে মাঠে নেমে সেটা কাজে লাগানো।’’