মোদী সরকারে আরও ওজন বাড়ল অমিত শাহর। পাশাপাশি কমানো হল রাজনাথ সিংয়ের দর। রীতিমতো কোনঠাসা করে দেওয়া হল তাঁকে।
দ্বিতীয় এনডিএ সরকারে মোদীর নেতৃত্বে বিভিন্ন বিষয়ে ৮টি ক্যাবিনেট কমিটি তৈরি করা হয়। সব কটিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি ছাড়া বাকিগুলোতে স্থান হয়নি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
৩০ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর শপথের পরই শপথ পাঠ করেন রাজনাথ সিং। তারপরই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেকেন্ড ইন কম্যান্ড রাজনাথই হচ্ছেন! মনে করা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাঁর হাতে থাকে, সে-ই প্রধানমন্ত্রীর ‘ডান হাত’ হয়ে থাকেন। কিন্তু ক্যাবিনেটে মন্ত্রী বন্টনের সময় দেখা যায় মোদী তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ অমিত শাহের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব সঁপেন। আর গত বারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথকে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব।
খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী রয়েছেন ৬টি ক্যাবিনেট কমিটিতে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৭ এবং রেল ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীয়ূস গোয়েল ৫টি-তে রয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে রাজনীতি বিষয়ক কমিটিতে রাজনাথকে রাখা হয়নি। যে কমিটি প্রধানত নীতি নির্ধারণ করে থাকে। ওই কমিটিতে রয়েছেন অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, নিতিন গডকড়ী, নরেন্দ্র তোমার, রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষ বর্ধণ, পীয়ূস গোয়েল, প্রল্হাদ জোসী এবং শরিক রামবিলাস পাসওয়ান, হরসিমরত কৌউর বাদল ও অরবিন্দ সাওয়ান্ত। অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গুরুভার দেওয়ার পাশাপাশি সব কটি কমিটিতে রাখা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, এর থেকে আরও স্পষ্ট হচ্ছে মোদী এখন থেকেই তাঁর উত্তরসূরী তৈরি করে দিচ্ছেন।
গত পাঁচ বছরে বেকারত্ব এবং ধীর জিডিপি সমস্যা তাড়িয়ে বেড়িয়েছে মোদী সরকারকে। বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি ফলস্রুত না হওয়ায় বিরোধীদের বারবার খোঁচার মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি, বিশের সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে ভারতকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলেও সম্প্রতি ত্রৈমাসিক জিডিপি-র হার গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন ছিল। তাই সেসব মোকাবিলা করতেই অমিত শাহর গুরুত্ব বাড়িয়ে রাজনাথের ডানা ছাঁটা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।