দিকেদিকে বিজেপির এখন একটাই স্লোগান ‘জয় শ্রীরাম’। রাজনৈতিক কৌশলেরও অঙ্গ হিসেবে বারবার সামনে আনা হয়েছে রামকে। অন্যথা হচ্ছে না এরাজ্যের ক্ষেত্রেও। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট বাজার পর থেকেই রাজ্যে বাইরে থেকে এক ‘আমদানি’ সংস্কৃতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক আবহাওয়া। কারণে অকারণে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিক্ষিপ্ত জয়গায়। এইবার এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতামত জানানোর জন্য অস্ত্র করলেন সোশ্যাল মিডিয়াকে।
বাংলার জননেত্রী রবিবার তাঁর ফেসবুক পেজে তাঁর বার্তা স্পষ্ট জানান। তাঁর কথায়, কোনও স্লোগানেই তাঁর আপত্তি নেই। তবে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিতে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বাংলার সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, বাংলায় রাম মোহন রায়, বিদ্যাসাগরের মত সমাজ সংস্কারক ছিলেন। মমতার দাবি, বাংলাকে টার্গেট করেছে বিজেপি, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘’আমার কোনও রাজনৈতিক দলের স্লোগান নিয়েই সমস্যা নেই। সব দলেরই নিজস্ব স্লোগান আছে। আমার দলের স্লোগান জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। বামফ্রন্টের আছে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। অন্যদেরও এরকম অনেক স্লোগান আছে। প্রত্যেকের স্লোগানকেই সম্মান করি।’’
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জয় সিয়া রাম, জয় রাম জি কি, রাম নাম সত্য হ্যায়- এসবের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। সেই আবেগকে সম্মান করি। কিন্তু বিজেপি জয় শ্রী রাম স্লোগানের অপব্যবহার করছে। ধর্ম আর রাজনীতি গুলিয়ে ফেলছে’ তাঁর দাবি, আরএসএসের নাম এই রাজনীতি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলার মানুষের উপর।
ধর্মের নামে এই ধরনের অশান্তিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। নিজেকে হিন্দু প্ৰমাণ করতে এই সুরে সুর মেলাতে হবে এমনই এক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। রাজনীতির মধ্যে ধর্মকে না টেনে আনার কথাই বারবার উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টের পরতে পরতে।