গত ২৩ মে ফল প্রকাশ হতেই দেখা গিয়েছিল, ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। আজ, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের দিল্লীর মসনদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিশ্বেকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের জন্যে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তবে দ্বিতীয়বারের জন্যে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে মোদী অ্যান্ড কোম্পানীকে।
প্রথমেই মোদীর কাছে যেটা বড় কাঁটা, তা হল কৃষক সমস্যা। চাষাবাদ, অরন্যায়ন এবং মৎস্য চাষ এই তিন মিলিয়েই দেশের কৃষিকাজ সমাহিত। দেশে মোট ২৬ কোটি কৃষিজীবী রয়েছেন। এই ২৬ কোটির সমস্যা হিসেবে যে কারণ উঠে আসে সেটি হল দেশে বিপুল পরিমানে খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কৃষিকাজে লাগান অর্থ লভ্যাংশে উঠে না আসায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। এই সমস্যার সমাধান করাই মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিগত ৫ বছরে মূলত কৃষক অসন্তোষই ভুগিয়েছে তাঁকে। ফলে এবার যদি তার সমাধান না হয়, স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন তিনি।
বেকারত্ব ইস্যুতেও বারবারই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে মোদীকে। কৃষিকাজের পাশাপাশি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমস্যা বেকার যুবকদের কাজ না থাকা। ভোট প্রচারেও এই সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রচার করে থাকেন নেতা-মন্ত্রীরা। গতবার বছরে দু’কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। ৫ বছর পর যা জুমলায় পরিণত হয়েছে। এখনও দেশের ১৩৩ কোটি জনগণের মধ্যে ৯১ কোটি জনগণ চাকরি সমস্যায় ভুগছেন। ‘আচ্ছে দিন’ আসেনি তাঁদের। এবারও মসনদে বসে বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ না নিলে ফের বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হবে তাঁকে।
মোদী জমানায় ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি – এই অভিযোগও বিগত ৫ বছরে বারবারই তুলেছে বিরোধীরা। মোদী সরকারের আমলে দেশে জিডিপির হার বেড়েছে। কিন্তু তাতেও গভীর সমস্যায় ভুগছে দেশ। ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি। নোটবন্দী, জিএসটির ধাক্কায় শোচনীয় হাল হয়েছে জাতীয় অর্থনীতির। তাই অবিলম্বে হাল না ফেরালে তার ফলও এবার ভুগতে হবে মোদী সরকারকে। আবার হিন্দুত্ববাদই বিজেপির অন্যতম আদর্শ হলেও এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বিষয়টিতেও জোর দিতে হবে মোদী সরকারকে। নাহলে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ও জুমলায় পরিণত হবে।