শেষ মুহূর্তে ভারতীয় দল থেকে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। সেই ত্রিবেণীর সুদীপ্ত মালাকার মঙ্গলবার জি বাংলা অনূর্ধ্ব ১৯ ফুটবলে নিজেকে অসামান্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়ে এরিয়ানকে জেতালেন। সুদীপ্ত মালাকারের প্রতিপক্ষ ছিল হুগলি মার্শালস। দেবরাজ চ্যাটার্জির কোচিংয়ে এরিয়ান ২-০ গোলে জয় পেল। এদিন এরিয়ানের হয়ে দুটি গোল করেন সঞ্জীব মণ্ডল ও দীপেশ মুর্মূ। ব্যান্ডেলের ছেলে সঞ্জীবের বাবা বাজারে মাছ বিক্রি করেন। মগরা থেকে উঠে আসা দীপেশের বাবা মাঠে চাষবাস করেন। আর সুদীপ্তর বাবা সুব্রত মালাকার একসময় ময়দানে পিয়ারলেস, ভ্রাতৃ সংঘের মতো ছোট দলে চুটিয়ে খেলেছেন। বাবার উৎসাহেই তাঁর ফুটবলে আসা।
প্রসঙ্গত, জি বাংলা ফুটবলের স্পটাররা এই টুর্নামেন্ট থেকে ৫০ জন ফুটবলার বাছবেন। সেখান থেকে স্ক্রিনিং করে সেরা ২০ জন ফুটবলার বাছাই করে জি’র কর্তাদের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। তারপর তারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই ২০ জনের তালিকা তুলে দেবেন। এবার রাজ্য সরকার এই ফুটবলারদের স্পেশাল ট্রেনিং, এক্সপোজার ট্যুর, বিদেশের আকাদেমিতে পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে।
গোটা মাঠ জুড়ে খেলে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে অফুরন্ত দম নিয়ে পুরো দলকে যোগ্য নেতার মেজাজে লিড করলেন সুদীপ্ত। মাঠে স্পটার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত ব্যানার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, শঙ্করলাল চক্রবর্তীর মতো প্রাক্তনরা। সবার নোট বুকেই উজ্জ্বল সুদীপ্ত’র নাম। এদিন ম্যাচের শেষে এরিয়ান অধিনায়ক সুদীপ্ত বলছিলেন, “অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়াটা মেনে নিতে পারব না জীবনে। ফলে যেখানেই খেলি না কেন নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই খেলি”। পাঠচক্র ক্লাবের হয়ে কলকাতা ফুটবলে তাঁর উত্থান। জেলার প্রবাদপ্রতীম কোচ মুরারি মোহন শূরের কাছে ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ নিয়েছেন সুদীপ্ত।