বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী থেকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, বিরোধীরা সকলেই একযোগে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির একাধিক ‘পেইড’ মিডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষাকে। কারণ সেসব বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রতিটাই ইঙ্গিত দিয়েছে, বিপুল ভোটে জিতে আবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারই ক্ষমতায় আসতে চলেছে। কিন্তু খাস দিল্লীর সাট্টা বাজার এখনও বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে একমত নয়। অতীতে অনেক বারই দেখা গিয়েছে, সাট্টা বাজার বিজেপির পক্ষে একটু বাড়িয়ে-চড়িয়ে বলেছে। এ বারে কিন্তু দিল্লী-মুম্বইয়ের সাট্টা বাজারের কারবারিরা বুথ ফেরত সমীক্ষার চেয়ে বেশ খানিকটা কম সংখ্যাই রাখছেন মোদীর ঝুলিতে।
দিল্লির সাট্টা বাজারের কারবারিদের মতে, এনডিএ সরকার ফের ক্ষমতায় যদি আসেও, তারা ৩০০ পার করে ফেলবে, এমন সম্ভাবনা কম। কারণ দিল্লীর সাট্টা বাজার বিজেপিকে ২৪০টির মতো আসন দিচ্ছে। কংগ্রেসের পক্ষে বাজি খেললে অবশ্য অনেক লাভ। কংগ্রেসকে দিল্লীর সাট্টা বাজার গড়পরতা ৮০টি আসন দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বিজেপি ‘পেইড’ মিডিয়া চ্যানেলগুলির বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে, এনডিএ ৩০০-র বেশি আসন পাবে। যার মধ্যে বিজেপির ভাগ ২৬০ থেকে ২৭০টি। বাকিটা শরিকদের। কিন্তু দিল্লীর মতো মুম্বইয়ের সাট্টা বাজারও বিজেপিকে ২৪০টির মতোই আসন দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের শেয়ার বাজার যতই ঊর্ধ্বমুখী হোক না কেন, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর সাট্টা কারবারিরা তুলনামূলক ভাবে অনেক সাবধানী। তাঁদের মতে, কংগ্রেস ৯০ থেকে ১০০টি আসন জিতলে ইউপিএর আসন সংখ্যা ১৫০ ছুঁতে পারে। বিরোধী শিবিরের নেতারা অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষার মতো সাট্টা বাজার নিয়েও সাবধানবাণী শুনিয়ে রাখছেন। তাঁদের যুক্তি, সাট্টা বাজার বরাবরই বিজেপির পক্ষে বেশি আসন অনুমান করে। তারাই যদি বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-দিয়ে ২৪০টি বা তার কম আসন দেয়, তা হলে বাস্তবে বিজেপির আসন আরও কম হবে। উল্লেখ্য, আইনি সিলমোহর না-থাকায় দেশের বেআইনি সাট্টা বাজারগুলিতে কত টাকা খাটছে, খাতায়-কলমে তার কোনও হিসেব নেই। তবে কারবারিদের দাবি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাট্টায় অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা খাটছে।