ক্ষমতায় এসে বাংলাকে উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি সবদিকেই নতুন জোয়ার এসেছে মমতার উদ্যোগে। এই বাংলার শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন মমতা। সেই শান্তি এবং উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে কলকাতাও।
মমতার আমলে আবাসন প্রকল্পে উপকৃত মানুষের সংখ্যা ৮৬০০, নীল রতন সরকার হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নাইট শেল্টার তৈরী করা হয়েছে (আর জি কর মেডিক্যাল কলেজেও তৈরী হচ্ছে), কর্মাঞ্জলী প্রকল্পে কর্মরতা মহিলাদের জন্য পাঁচটি হোস্টেল তৈরী করা হয়েছে, নিউ টাউনে সরকারি আধিকারিকদের জন্য ৫৭৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।
শিক্ষাখাতেও অনেক উন্নয়ন এনেছেন মমতা। সাড়ে সাত বছরে ৬৯টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে। ১.২৭ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে, শিক্ষাশ্রী পেয়েছে ৩৮ হাজার পড়ুয়া।উল্লেখ্য কন্যাশ্রীর জন্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে পুরস্কৃতও হয়েছেন মমতা। এছাড়াও হয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়), দুটি সরকারি ডিগ্রী কলেজ, একটি পলিটেকনিক কলেজ।
জোয়ার এসেছে স্বাস্থ্যখাতেও।স্থাপিত হয়েছে ১৩টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ২১টি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, নটি এসএনএসইউ, সাতটি এসএনসিইউ, সাতটি সিসিইউ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ও খিদিরপুরের মাতৃ সদনে একটি করে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব।
খেলাধূলার উন্নতিতেও নজর দিয়েছেন মমতা।মমতার আমলে ১৭৫টি মাল্টি জিম, পাঁচটি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরী হয়েছে। ২০১৭ সালে অনুর্দ্ধ ১৭ ফিফা বিশ্ব কাপের জন্য বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও উন্নতি হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা যোজনাতেও। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ২.৭৬ লক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
মমতার উদ্যোগেই প্রভূত উন্নতি হয়েছে শিল্পক্ষেত্রেও। তিনটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বানতোলা চর্ম নগরী (পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম চর্ম নগরীতে পরিণত করার)। অনেক নতুন সংস্থা এসেছে বাংলায় যার দ্বারা বহু ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হয়েছে। উল্লেখ্য মমতার আমলেই বেকারত্ব কমেছে ৪০%। বেকারত্ব হ্রাসে মমতা এনেছে কর্মতীর্থ, গতিধারার মত প্রকল্প। কৃষকদের আয় বেড়েছে তিনগুণ। সব মিলিয়ে যেভাবে সবদিকে উন্নয়নের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন মমতা, সেই কারণে মমতার ওপর আস্থা রাখছেন কলকাতা-তথা গোটা বাংলার মানুষ।