এই ব্যস্ত সময়ে যখন মানুষে মানুষে বিভেদের ডাক, যখন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে মানুষ, এই দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে একমুঠো ঠান্ডা বাতাস উড়িয়ে দিলেন নদিয়ার পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। দান কি জাত-পাত-ধর্ম দেখে হয়? তা যে হয় না, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধা।
পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি চাকরি করতেন। অবসর নিয়েছেন ২০০০ সালে। আগের নিজের সঞ্চয়ের টাকা দান করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘকে। জীবনের একটা লম্বা সময় কাটিয়েছেন ভাড়া বাড়িতে। সেই তিনিই কি না পাঁচ কাঠা জমির ওপরে শিব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে তাঁর কাছে খবর গিয়েছিল জমির অভাবে গ্রামের মানুষকে বাড়ির উঠোনেই মৃত পরিজনদের করব দিতে হয়। আর এটা শোনার পরই নিজের শেষ সম্বলটুকু অর্থাৎ নদীর পাড়ে ১২ কাঠা জমি দান করেছেন কবরস্থান নির্মাণে। এখন তাঁর সম্বল বলতে সামান্য কিছু পেনশনের টাকা। কিন্তু তবুও তিনি ভীষন খুশি কারণ তিনি ভালো থাকতে জানেন, ভালো রাখতে জানেন।